জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন নানা রকম চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করে চলেছেন। সম্প্রতি তিনি ‘এষা মার্ডার’ নামে একটি সিনেমায় পুলিশ অফিসার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এবার বাঁধন উপজেলা নির্বাহী অফিসার-ইউএনওর চরিত্রে।
‘মাস্টার’ নামে সে সিনেমার পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়িতে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে। ইউএনও চরিত্রটি ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে তিনি সচিবালয়ে গেছেন, কর্মকর্তাদের কাজ দেখেছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন এবং পরিচালকের সহযোগিতাও নিয়েছেন।
বাঁধন বলেন, ‘মাস্টার’ সিনেমার প্রধান চরিত্র কিন্ত নাসির ভাই করেছেন। গল্পটা দুর্দান্ত, এক কথায় অসাধারণ। এত ভালো গল্প যা বলে শেষ করার নয়। বারবার মনে হয়েছে এটার অংশ হতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ইউএনও চরিত্রে প্রথমবার অভিনয় করেছি। দর্শকদের সিনেমাটি ভালো লাগবে। সত্যি কথা বলতে ‘খুফিয়া’ করার পর মনে হয়েছে আরও একটি ভালো কাজ করলাম। এই সিনেমায় অনেক শিল্পী অভিনয় করেছেন। সবাই খুব ভালো করেছেন।’
পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত সম্পর্কে বাঁধন বলেন, ‘সুমিত অসম্ভব ভালো একজন পরিচালক। এত ঠান্ডা মাথায় কাজ করেন, যা মুগ্ধ করে সব শিল্পীকে। তাছাড়া অসম্ভব ভদ্র ও বিনয়ী মানুষ তিনি।’
‘মাস্টার’-এর শুটিংয়ের জন্য বাঁধন বেশ কয়েক দিন থেকেছেন মধুপুরের ব্র্যাকের লার্নিং সেন্টারে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওখানকার পরিবেশটা সুন্দর। এত ভালো পানি, এত ফ্রেশ খাবার এবং চারদিকে সবকিছু সবুজ। মনটাই অন্যরকম ভালো ছিল কয়েকটা দিন।’
বাঁধন আরও বলেন, ‘মধুপুরে গিয়েছি। প্রতিদিন সবাই মিলে আনারস খেয়েছি। অবসরে ভ্যানগাড়িতে ঘুরেছি। আনারস বাগান দেখে মন ভরে গেছে। জাতীয় উদ্যানেও গিয়েছি। এছাড়া, ধনবাড়ি থেকে টাঙ্গাইলের বিখ্যাত শাড়ি কিনেছি। মধুপুর থেকে রূপার গয়না কিনেছি।’
বাঁধন বলেন, ‘মম ছিল, ফজলুর রহমান বাবু ভাই, জর্জ ভাই, নাসির ভাইসহ বড় একটা টিম। ওখানে গিয়ে চুল এবং ত্বক আরও সুন্দর হয়েছে ফ্রেশ খাবার এবং পানি খেয়ে।’
এর আগে ২০২১ সালে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এবং গত বছর বলিউডের ‘খুফিয়া’ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেন বাঁধন। কিছুদিন আগে শেষ করেছেন ‘এষা মার্ডার’-এর কাজ। সেখানেও যে পুলিশ অফিসার চরিত্রে নজর কাড়বেন, তা বলাই বাহুল্য। সঙ্গে যোগ হলো ‘মাস্টার’-এর ইউএনও চরিত্র।