ঈদের দিন সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন জেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে চাচা-ভাতিজাসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের লোহাগাড়া সুপারিতলা এলাকার বাছের আলীর ছেলে কাউসার আলী (১৬), একই এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন (১৭), দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খাঁ পাড়া এলাকার মজনু রহমানের ছেলে সাব্বির (২২) ও একই এলাকার হজরত আলীর ছেলে বরকত (১৭)।
খাগড়াছড়ির গুইমারায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন গুইমারা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী হারুনুর রশীদের ছেলে আলী হোসেন (১৭), বড়পিলাক এলাকার মৃত জামাল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান পায়েল (২০) এবং মহালছড়ির মুবাছড়ি এলাকার বাসিন্দা দিগন্ত চাকমা (১৮)। তারা তিনজনই মোটরসাইকেল আরোহী।
নরসিংদীতে বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর দগরিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার গাউসিয়া শাওগাট এলাকা শাহিন (২৩) ও সানি (২২)।
এছাড়া রাজধানীর গুলশান-২ গোলচত্বর এলাকায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মমতা শিকদার (২৭) নামে ওই নারী একজন এক নার্স ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মো. শফিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। শফিকুল ইসলাম বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর উত্তর পাড়ার ইদন মিয়ার ছেলে।
যশোরের মনিরামপুরে ঈদের দিন ঘুরতে বেরিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রাকিবুল ইসলাম রাব্বি (২২) নামে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। রাকিবুল ইসলাম রাব্বি মনিরামপুর উপজেলার বাজুয়াডাঙা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মোটরসাইকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিন যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কয়রা কুমিল্লাপাড়া গ্রামের কবীর মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৩), আমতলা গ্রামের মো. জয়নাল মিয়ার ছেলে হালিম হোসেন (১৮) ও হাটশিরা শিবনগর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে নবী হোসেন (৩৫)।
নড়াইলের ডৌয়তলায় এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কুমোরপট্টি গ্রামের আসাদ মাতুব্বরের ছেলে আলছাফ মাতুব্বর (২২) এবং অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শামিম হোসেন (১৭) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শামিম সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের শাহ জামালের ছেলে।
এ ছাড়া নৌপথেও ঝড়েছে প্রাণ। রাজধানীর সদরঘাটে দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ নিহত হন ৫ জন। সদরঘাট টার্মিনালে এমভি ফারহান ৬ নামক লঞ্চ বার্থিং করার সময় পল্টুনে বাঁধা এমভি তাসরিফ ৪ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে এ পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার মাটিচোরা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বিল্লাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬), তাদের মেয়ে মাইশা (৩), পটুয়াখালী সদরের জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন হাওলাদার (৩৮) এবং ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ কাফীর ছেলে রবিউল (১৯)।