সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশিরভাগ এলাকায় এখন আর মদ বা মদজাতীয় পানীয় গ্রহণ নিষিদ্ধ নয়। তবে মদপানের ক্ষেত্রে দেশটির ইসলামি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়।
মদপানের ব্যাপারে নতুন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাত রাজ্যের অন্যতম রাজ্য দুবাই। নির্দেশনায় মদপানের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ও লাইসেন্সের ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মদ বা মদজাতীয় পানীয় গ্রহণ করতে চাইলে এসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। খবর-
খালিজ টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অন্যতম প্রধান শহর দুবাইতে ২০২৩ সালে মদ বা মদজাতীয় পানীয় ক্রয় বিষয়ক আইন শিথিল করা হয়। মদের ওপর যে ৩০ শতাংশ কর ছিল তাও সরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এসব পানীয় পর্যটক ও স্থানীয়দের কাছে আরও সহজলভ্য হয়ে ওঠে।
দুবাইসহ আরব আমিরাতের সর্বত্রই মদজাতীয় পানীয় ক্রয় ও পানের ক্ষেত্রে ব্যক্তির বয়স অন্তত ২১ বছর হতে হবে। এর কম বয়সী কেউ মদ ক্রয় ও গ্রহণ করতে পারবে না।
মদপানের ক্ষেত্রে আরও কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। যেমন দুবাইতে যেখানে সেখানে বসে মদ পান নিষিদ্ধ। মদ পান করতে হলে অবশ্যই রেস্তোঁরা বা লাউঞ্জে বসে করতে হবে। আর সেই রেস্তোঁরা বা লাউঞ্জের অবশ্যই লাইসেন্স থাকতে হবে।
নিজ বাড়ি বা থাকার জায়গায় মদ পান করা যাবে। সেক্ষেত্রেও লাইসেন্স থাকতে হবে। মদ পান করে গাড়ি চালানো যাবে না। এক্ষেত্রে আইন বেশ কড়া। আইন লঙ্ঘন করলে জরিমানা করা হবে যা আদালত নির্ধারণ করবে। শুধু তাই নয়, ড্রাইভিং লাইসেন্সে ২৩টি কালো পয়েন্ট যুক্ত হবে। আর গাড়িটি ৬০ দিনের জন্য বাজেয়াপ্ত করা হবে।
২০২২ সালে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর দায়ে এক প্রবাসী ব্রিটিশকে ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই সঙ্গে তার গাড়িটি ৩০ দিনের জন্য বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে মদ পান করে গাড়ি চালানো, উল্টো পথে গাড়ি চালানো এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়।
দুবাইয়ে চাইলেই মদ কেনা যাবে না। যার তার কাছে মদ বিক্রি করাও নিষিদ্ধ। মদ কিনতে হলে ক্রেতার অবশ্যই লাইসেন্স থাকতে হবে। চাইলে খুব সহজেই লাইসেন্স পাওয়া যায়। অনলাইনেও মদের লাইসেন্সের আবেদন করা যায়।
অথবা কেউ চাইলে বৈধ কোনো মদের দোকানে গিয়ে অফলাইনে আবেদন করে বিনামূল্যে লাইসেন্স নিতে পারেন। দেশটির নাগরিকদের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র দিতে হবে। আবেদন করার পরপরই যে কেউ মদ কিনতে পারবেন।