বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে মানুষের ঢল নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে শুরু হওয়া শোভাযাত্রার র্যালিটি চারুকলা অনুষদ থেকে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি হয়ে আবারও চারুকলায় এসে শেষ হবে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এতে অংশ নিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় প্রতিবছর উদযাপিত হয় বাংলা নববর্ষ। এ বছর বাঙালির প্রাণের এই উৎসবের অংশ মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্ণ হলো। এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য- ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’। শোভাযাত্রার স্লোগানটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘তিমিরহননের গান’ কবিতা থেকে নেয়া।
এদিকে, দিবসটিকে ঘিরে আজ রাজধানী ও দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। ছায়ানট রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।
এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো একে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।