আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পেশা যখন আলিঙ্গন করা!

পেশা যখন আলিঙ্গন করা!

কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপে ভোগেন কমবেশি সকলেই। ঘরের কাজ, অফিসের কাজ ঠিক সময় মতো করতে গিয়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়ার সময়ই হচ্ছে না। রাতে ঘুমও হচ্ছে না ঠিকঠাক। ফলে পরের দিন সকালে এক রাশ ক্লান্তি নিয়ে চোখ খোলা। ফলাফল কাজে মনোযোগ না দিতে পারা। এ সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খুঁজছেন সবাই। 

বন্ধু হোক বা প্রিয়জন, পরস্পরের প্রতি স্নেহ ও ভালবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হল আলিঙ্গন। আচ্ছা ভাবুন তো, যদি এমন কেউ থাকত যাকে আলিঙ্গন করা মাত্রই নিমেষেই গায়েব হয়ে যেত সমস্ত ক্লান্তি, দুশ্চন্তা! 

ভাবছেন হেঁয়ালি করছি। মোটেই না! এমন অনেকেই আছেন আলিঙ্গন করাই যাদের পেশা। ঐ যে ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ সিনেমায় সঞ্জয় দত্তের একটা সংলাপ ছিল না, ‘জাদু কি ঝাপ্পি’— ব্যপারটা অনেকটা সেরকমই। তবে এ পেশার সঙ্গে কিন্তু যৌনতার কোনও সম্পর্ক নেই। যারা এ কাজ করেন তাদের বলা হয় ‘প্রফেশনাল কাডলার’।

সম্প্রতি কানাডায় আলিঙ্গনের মাধ্যমে মানসিক ক্লান্তি দূর করা এক দারুণ থেরাপিতে পরিণত হয়েছে। এ থেরাপির চাহিদাও বেশ বেড়েছে। যারা নানা কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছেন তারা চিকিৎসার জন্য প্রফেশনাল কাডলিস্টদের কাছে যেতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।

তেমনই একজন হলেন ট্রেভর হুটন। যিনি পেশায় একজন আলিঙ্গনকারী। কেবলমাত্র আলিঙ্গন করেই তিনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। তবে তার অলিঙ্গনে থাকে না যৌনতার কোনও ছোঁয়া। দীর্ঘক্ষণ আলিঙ্গন ও সুড়সুড়ির মাধ্যমেই তিনি রোগীদের মানসিক স্বস্তি দেন। ঘন্টা খানেক আলিঙ্গনের জন্য তিনি রোগীদের কাছ ছেকে ৭৫ ডলার (যা বাংলাদেশে ৭,০৫০ টাকা) নেন। শুধু তা-ই নয়, হুটন একজন কাউন্সিলারও বটে। যারা নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপড়েনে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত তাদেরও সমস্যার সমাধান করেন হুটন।

কানাডাবাসী হুটনের মতে, ‘‘অনেকেই আমার কাজটা আদতে কী সেটা বুঝতেই পারেন না। তারা ভাবেন আমি লোকেদের যৌন পরিষেবা দিয়ে থাকি। কিন্তু ব্যপারটা একেবারেই তা নয়। মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা আমার নেশা আর সেটাকেই আমি পেশায় পরিণত করেছি। বহু মানুষ আমার আলিঙ্গনে স্বস্তিবোধ করেন। এটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার।’’

এসি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পেশা | আলিঙ্গন | করা