দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মিয়ানমারের রাখাইন থেকে ১৭৩ বাংলাদেশিকে নিয়ে কক্সবাজার বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে পৌঁছেছে জাহাজ। এর আগে মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের সিটওয়ে বন্দর থেকে তাদের নিয়ে জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে তাদের বহনকারী জাহাজটি ঘাটে এসে পৌঁছায়।
বুধবার সকালে জাহাজটির বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও পৌছায় নির্দিষ্ট সময়ের পর। এরপর তাদের নিয়ে জাহাজটি ঘাটে আসতে শুরু করে। দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজ পৌঁছালেও আনুষ্ঠানিকতার জন্য তারা এখনো জাহাজে রয়েছেন।
এদিকে নিখোঁজ প্রিয়জন ফিরছে জেনে তাদের কাছে পেতে সকাল থেকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএর ঘাট এলাকায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন স্বজনরা।
টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের খারাংখালী এলাকার বাসিন্দা ছেনেয়ারা বেগম গণমাধ্যমে বলেন, ১২ বছর আগে আমার ভাই খোরশেদ আলম (৩০) নিখোঁজ হন। গতকাল খবর পেয়েছি মিয়ানমার কারাগার থেকে অনেক বাংলাদশিকে আনা হচ্ছে। তাই ভাইয়ের জন্য অপেক্ষায় আছি।
উখিয়ার পালংখালী মধ্যম ফারির বিল এলাকার ফরিদা খাতুন বলেন, আমার ছেলে আরফাত হোসন (২০) সিএনজি চালক ছিল। দালালের খপ্পরে পড়ে ১৪ মাস আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ৯ মাস পরে তার চিঠি পেয়ে নিশ্চিত হয়েছি সে মিয়ানমারের কারাগারে রয়েছে। নিকট আত্নীয়ের মাধ্যমে খবর পেয়েছি মিয়ানমার থেকে তাদের আনা হচ্ছে। আমি এখনো নিশ্চিত না যে সেখানে আমার ছেলে আছে কিনা। তারপরও ছেলেকে পাওয়ার এক বুক আশা নিয়ে এসেছি।
একই কথা বললেন, পালংখালীর একই গ্রামের বাসিন্দা সাবেকুন্নাহার, হাজেরা খাতুন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার জমিলা, উখিয়ার বদি বলম শাহ আলম, টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের হাজমপাড়ার নুরুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের এই জাহাজে করেই রাখাইনে সংঘাতের কারণে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের দুই শতাধিক বিজিপি সদস্যকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
এএম/