আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ন্যায্য পদবি-বেতনের দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা

ন্যায্য পদবি-বেতনের দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা

দীর্ঘ ২৭ বছর যাবত বঞ্চিত হয়ে আসা সরকারি কর্মচারীরা পদবি এবং বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন।

আজ শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংগঠনের মহাসচিব আবু নাসির খান।

তিনি জানান, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ভিতরে ও বাইরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারী বিভিন্ন পদের পদবি ও বেতন স্কেল এক ও অভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও তৎকালীন সরকার ১৯৯৫ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করে শুধু সচিবালয়ের বর্ণিত পদগুলো আপগ্রেড করে। এর ফলে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে পদবি ও বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, গণভবন ও বঙ্গভবনে বর্ণিত পদগুলোও আপগ্রেড করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দপ্তরের বর্ণিত পদগুলো অদ্যাবধি পূর্বের ন্যায় রয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে আমরা এই পদবি বৈষম্যের অবসান চাই।

এরই মধ্যে সরকার উচ্চমান সহকারী, প্রধান সহকারীর সমস্কেল ও নিম্ন স্কেলের কর্মচারীদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্লক সুপার ভাইজার, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, পুলিশের এস আই, নার্স, অডিটর ও খাদ্য পরিদর্শকসহ পদসমূহ ২য় শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত হয়েছে।

কিন্তু অন্যান্য দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনের সমপদসমূহ উন্নীত না করায় দীর্ঘ ২৭ বছর যাবত তারা বঞ্চিত রয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা উচ্চপদে আসীন হওয়ায় পরবর্তী প্রজন্ম উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

এসময় তিনি দপ্তর ও অধিদপ্তরের পদবি ও বেতন বৈষম্য নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ন্যায্য | পদবিবেতনের | দাবিতে | সরকারি | কর্মচারীরা