টানা ৫ সপ্তাহ কমার পর আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের। নিম্নমুখী রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ইল্ড। সেই সঙ্গে দেশটির মুদ্রা ডলারের মান কমেছে। ফলে অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যেও ইল্ডিং বহির্ভূত বুলিয়নের (স্বর্ণের বাজার) নিরাপদ আশ্রয়ের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আবেদন বেড়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গেলো শুক্রবার (২২ জুলাই) স্পটে স্বর্ণের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ। প্রতি আউন্স বিক্রি হয়েছে ১৭২৩ ডলার ৩৪ সেন্টে। এক সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। তবে এর আগের দিন গেলো বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) স্বর্ণের দাম ১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে। ওই দিন প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয় ১৭২৭ ডলার ৪ সেন্টে।
ইউএস স্বর্ণের ভবিষ্যত সরবরাহ মূল্য শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি আউন্স বিকিয়েছে ১৭২৭ ডলার ৪ সেন্টে। স্বর্ণের বাজার ঘুরে দাঁড়ানোয় ১০ বছরের মধ্যে মার্কিন ট্রেজারি ইল্ডে (ফলন) নিম্নমুখিতা দেখা গেছে। অন্যদিকে দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় স্বর্ণের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন বিদেশি ক্রেতারা।
শিকাগো ব্লু লাইন ফিউচার্সের প্রধান বাজার কৌশলবিদ ফিলিপ স্ট্রেবল বলেন, ডলারের মূল্যহ্রাস, শেয়ারবাজারে ধস এবং ইল্ডের নিম্নমুখিতায় স্বর্ণের দর উঠেছে।
তবে তিনি মনে করেন, এ পরিস্থিতি বেশি সময় স্থায়ী হবে না। ফেডের বৈঠক ঘিরে আবার স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা নেমে আসতে পারে।
মির্জা রুমন