রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২৫জুলাই থেকে ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি যুদ্ধ। এবার রাবিতে তিন ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৮ জন পরীক্ষা। প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বে ৪৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন। শনিবারে বেলা ১১ টার সিনেট ভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ক্রমান্বয়ে ২৬ জুলাই ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের ও ২৭ জুলাই ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরিক্ষা।
তিনি আরো বলেন, ‘এ’ ইউনিটে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদভুক্ত ২৭টি বিভাগসহ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট অন্তর্ভুক্ত আছে। ‘বি’ ইউনিটে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ৬টি বিভাগ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট এবং ‘সি’ ইউনিটে বিজ্ঞান,কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ২৬টি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত আছে।
বিশেষ কোটাসহ মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৬ শত ৪১ টি। এই আসনের বিপরীতে মোট ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৬৮ টি চূড়ান্ত আবেদন জমা হয়েছে। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৬৭ হাজার ২৩৭ টি, ‘বি’ ইউনিটে ৩৮ হাজার ৬২১ টি এবং ‘ সি’ ইউনিটে ৭২ হাজার ৪১০ টি চূড়ান্ত আবেদন সম্পন্ন হয়। এইবার একক আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪২৯ জন। ১ ঘন্টার ভর্তি পরিক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হবে।
তিনি চিকিৎসা সহায়তা বিষয়ে বলেন, ভর্তি পরিক্ষা চলাকালে রাবি চিকিৎসা কেন্দ্র পরিচালিত একটি মেডিকেল টিম কাজ করবে এবং ৪ টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। এছাড়াও কোয়ান্টাম ফাইন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত ২ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করবে। পরিক্ষা চলাকালীন অভিভাবকদের জন্য শহীদ সুখনঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ৯টি ওয়াটারপ্রুফ টেন্ট স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি টেন্ট অভিভাবকদের বসার জন্য ২০০ টি করে চেয়ার থাকবে ও ১২টি স্থানে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও বিএনসিসি/রোভার স্কাউট/রেস্তারনণ বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ৯ টি হেয় ডেস্কের মাধ্যমে পরিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা প্রদান করবে। পরীক্ষা চলাকালীন বিশ^বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সকল ধরনের প্রচারণামূলক লিফলেট বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নারী অভিভাবকদের অবস্থানের জন্য ছাত্রী জিমনেশিয়ামে সীমিত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক ড.চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক ড.সুলতান-উল-ইসলাম, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম।
