সম্প্রতি মডেল, অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুলের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, হাবগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সুমনের কথায় হাসছেন পিয়া জান্নাতুল। পরবর্তীতে পিয়া জান্নাতুলের এই হাসিটাকে লুফে নেয় নেটেজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে পিয়ার লাবণ্যময়ী হাসির ওই ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে নেটিজেনদের অনেকে তৈরি করছেন রিলস ও মিম।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বর্তমানে আইনজীবী পেশা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করা এই অভিনেত্রী। পিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমার চোখে পড়েছে। আমি দেখেছিও। অনেকেই আমার এক্সপ্রেশনের সঙ্গে গান জুড়ে দিয়ে রিলস বানাচ্ছেন, করছেন ভিডিও। তবে আমার এ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। আমি স্রোতেও গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ, আমি বুঝি, যারা দুই সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে এক সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।’
পিয়ার ভিডিওটি দেখে তরুণদের একটি বড় অংশ তাকে ‘জাতীয় ক্রাশ’বলে ডাকছেন। নেটজেনদের অনেকেই সোশ্যালমিডিয়ায় অবলীলায় লিখেও ফেলছেন, ‘প্রেমে পড়ে গেলাম। আহ্ কী হাসি!’
তবে বিষয়টিকে মোটেও দোষের বলে মনে করেন না এই অভিনেত্রী। বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি কনটেন্ট বা রিলস যে যেটাই তৈরি করছেন, তাদের বেশিরভাগই তরুণ-যুবক। আর তাদের জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।’
লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিস থেকে আইন বিভাগ থেকে স্নাতক পিয়া আরও বলেন, ‘আসলে এগুলো এখন ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে। আর যখন যে ট্রেন্ড আসে, সবাই সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।’
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন পিয়া। পরের বছর র্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ফ্যাশন মডেল হিসেবে পাশাপাশি একাধিক ব্র্যান্ডের টিভি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন।বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি’র শিরোপাও জিতে নেন খুলনায় জন্ম নেওয়া এই অভিনেত্রী। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন পিয়া।
২০১২ সালে চোরাবালি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। ২০১৩ সালে বাহরাইনে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রিন্সেস’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘দ্য স্টোরি অফ সামারা’ এবং ‘প্রবাসীর প্রেম’ নামে বেশ কটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন।