পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫.২ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনার লিটন কুমার দাস। তবে লিটন আউট হলেও এই ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হওয়া আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম টিকে থাকে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। ২ ছক্কা ও ৮ চারে ৪৭ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তানজিদ। তাকে সঙ্গে দিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ২৪ বলে ২১ রান। আর ১ ছক্কা ও ৫ চারে ১৮ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকে তাওহিদ হৃদয়।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। তবে পরের ওভারে মেহেদী হাসানের বলে ০ রানে ফিরে যান ওপেনার ক্রেগ আরভিন। জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পঞ্চম ওভারে দলীয় ৩৬ রানে। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে ১৪ বলে ১৭ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি।
স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ না হতেই পরের ওভারে আরও ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা। মেহেদী হাসানের প্রথম বলেই ১৬ রান করে রান আউট হন ব্রায়ান বেনেট। পরের বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে আউট হয়ে যান অধিয়ানক সিকান্দার রাজা।
মেহেদীর ওইভারের শেষ বলে ২ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। পরের ওভারে বল হাতে নেন সপ্তম তাসকিন আহমেদ। প্রথম দুই বলেই ফিরিয়ে দেন শেন উইলিয়ামস (১ বলে ০) ও বার্লকে (১ বলে ০)।
৭ ওভারে ৬ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে সপ্তম উইকেটটি হারায় পরের ওভারেই। সাইফদ্দিনের বলে ২ রান করে আউট হন লুক জঙ্গি। ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় যখন জিম্বাবুয়ে। তখন ৮ম উইকেটে মাসাকাদজা–মাদান্দের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। দুজন মিলে গড়েন ৭৫ রানের জুটি। ৩৯ বলে ৪৩ রান করা মাদান্দেকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙ্গেন তাসকিন। শেষ পর্যন্ত ১২৪ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে জিম্বাবুয়ে।