দীর্ঘ চার বছর প্রেমের পর বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সাগর সরদার (২৬) এর বাড়িতে অনশনে বসেছেন মুন্নী আক্তার (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রী। ঘটনাটি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নবুওছিমদ্দিন পাড়ার।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল থেকে সাগর সরদারের বাড়ির বারান্দায় অনশনে বসেন ওই কলেজছাত্রী।
সাগর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নবুওছিমদ্দিন পাড়ার দারগ আলী সরদারের ছেলে। সে স্থানীয় ভেকু চালক।
অনশনরত মুন্নী একই গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার মেয়ে। সে গোয়ালন্দ উপজেলার একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
অনশনে থাকা কলেজছাত্রী বলেন, প্রেমিক সাগর সরদারের কথা মতো আমি ওর বাড়িতে এসেছি। কিন্ত পরিবারের কথা মতো আমাকে রেখে পালিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, সাগর যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে এই বাড়ি থেকে আমার লাশ যাবে।
কলেজছাত্রী বলেন, চার বছর আগে একই গ্রামের সাগর সরদারের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ে করার কথা বলে সাগর একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন।
সম্প্রতি সাগর কাজের উদ্দেশ্যে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ কথা শুনে তিনি সাগরকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন।
মুন্নী বলেন, শুক্রবার সকালে সাগর তাকে ফোন করে বাড়িতে যেতে বলেন। সকাল ১০টার দিকে তিনি সাগরদের বাড়িতে যান। তখন সাগর বাড়িতে ছিলেন। বেলা ১২টার দিকে সাগরের বাবা বাড়িতে এসে ছেলেকে বাড়ি থেকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে সাগরের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। সাগরের মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর ভাই বলেন, সাগর আমার বোনের সর্বনাশ করেছে। আমরা সাগরের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমার বোনকে সাগরের স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, প্রেমের সম্পর্কের কারণে মেয়েটি প্রেমিকের বাড়িতে উঠেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসি//