রাতভর নাটকীয়তার পর প্রায় ২৩ লাখ টাকাসহ আটক হওয়া পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনসহ আটক ১১ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৭ মে) দুপুর ১২ টায় আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান।
র্যাব ১২ জানায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেননি। তার সাথে থাকা অর্থ নির্বাচনী ব্যয়সীমার মধ্যে হওয়ায় তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে র্যাব। জব্দকৃত টাকা ট্রেজারিতে জমা দেয়া হবে এবং শাহিনসহ সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি আরও তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গেলো ৬ মে মধ্যরাতে সুজানগরের চর ভবানীপুরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাকে তার ১০ সহযোগীসহ আটক করে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা।
গতরাতে আটকের পর র্যাব কমান্ডার এহতেশামুল হক খান জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহিনুজ্জামান নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে টাকা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন বলে র্যাবের কাছে স্বিকার করেছেন।
এদিকে শাহিনুজ্জামান শাহীনসহ আটক ১১ জনের মুক্তির দাবিতে সুজানগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার ভোর থেকে মুক্তি দেওয়ার আগ মুহূর্তে পর্যন্ত নেতাকর্মীরা সুজানগর থানাসহ সুজানগর বাজারের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে মুক্তির খবর সেখানে পৌঁছালে আনন্দে মেতে উঠেন নেতাকর্মীরা।
ছাড়া পাওয়ার পর দুপুর ২টায় নিজ এলাকায় ফেরেন শাহীন। এ সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাকে শুভেচ্ছা জানান। অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
নেতাকর্মীদের শান্ত হয়ে ঘরে ফিরে যাবার অনুরোধ করে শাহীন আগামীকাল ৮ তারিখ উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। আটকের ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন শাহীন ও তার নেতাকর্মীরা।
আই/এ