আজকে জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটির ওপরে। সেটাও কারও কারও হিসাবে পছন্দ হচ্ছে না। নিজেরাই সন্তান পয়দা দিতে থাকুক। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (১ আগস্ট) কৃষকলীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেরাই সন্তান পয়দা দিতে থাকুক। জনসংখ্যা বাড়াতে থাকুক। তারা সেটা করুক। আমরা খাবার দেব। কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা চাই প্রত্যেকটা পরিবার যেন সুখি হয় এবং সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর মঙ্গা কবলিত উত্তরবঙ্গে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে লঙ্গরখানাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথাও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। এই সময় তিনি সেখানে সফর করেন বলেও জানান। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় তৎকালীন গণমাধ্যমে প্রকাশিত কুড়িগ্রামের চিলমারীর বাসন্তীর ছবি প্রসঙ্গ তুলে ধরে তার বাড়িতে যাওয়ার ঘটনা এবং তাদের করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, তখন আমি শুধু বলেছিলাম আমার বাবার রক্ত নিয়েতো বাসন্তীদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। তাহলে কেন হত্যা করা হলো? দেশের মানুষ শোষণ-বঞ্চনার শিকারই থাকল। তাহলে এই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের চোর, ডাকাত বানালো। এত কিছু করলো। তাতে দেশের মানুষ কী পেলো? সেটাই বড় প্রশ্ন।
১৯৮৩ সালে আওয়ামী লীগ প্রথম রক্তদান কর্মসূচি শুরু করলেও তৎকালীন সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাতে বাধা দেন বলে জানান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের রক্তঋণে আবদ্ধ করে গেছেন। আমরা রক্ত দিয়ে দেশের একজন মুমূর্ষু রোগিকে বাঁচাতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসীরা মানুষের সেবায়, বিপদে-আপদে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।