আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

দেশে মেধাসম্পদের বিকাশ ও সংরক্ষণের কোনো বিকল্প নেই : শিল্পমন্ত্রী

দেশে মেধাসম্পদের বিকাশ ও সংরক্ষণের কোনো বিকল্প নেই : শিল্পমন্ত্রী

দেশের সরকার মেধা সম্পদকে টেকসই উন্নয়নের অন্যতম মানদণ্ড ধরে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ও সূচকসমূহ নির্ধারণ করেছে। মেধাসম্পদের সুরক্ষা ও উন্নয়ন এসডিজি বাস্তবায়নে অবদান রাখবে। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিকল্পনা আছে। দেশে মেধাসম্পদের বিকাশ ও সংরক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। বললেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি ।

সোমবার (১ আগস্ট) রাজধানীর রমনাস্থ তথ্য ভবনে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত কর্মশালায় তিনি  এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ দেশের উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রাকৃতিক মেধাকে কাজে লাগিয়ে সম্পদে পরিণত করে শিল্প উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করা দরকার। কারণ, ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টিই একমাত্র প্রপার্টি, যার উৎস অসীম এবং সম্ভাবনা অফুরন্ত। এই সম্ভবনাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটি আমাদের মেধাসম্পদ নীতিমালা এবং শিল্পনীতিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণের স্বার্থে আমাদের সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণে এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে আরও মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, যে চেতনাকে ধারণ করে রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ব মানচিত্রে এখন প্রয়োজন তার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা। আজ সময় এসেছে শিল্পায়নের, আজ সময় এসেছে মেধাসম্পদ বিকাশ ও সংরক্ষণের।  আর এজন্য দরকার একটি সুপরিকল্পিত ‘ভিশন এবং প্রয়োজন একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা। তাই আজকে ৭টি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করে ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের সীমিত সম্পদকে সমৃদ্ধ সম্পদে পরিণত করতে হবে।

শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্ত ঘোষ, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন পিএএম সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যবসায়ী চেম্বারের নেতৃবৃন্দ। প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইপিএবির মহাপরিচালক মো. আজিজুর রহমান এফসিএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন ড. সীমা জামান, ডিপিডিটির রেজিস্ট্রার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মানিত সচিব মিজ শরিফা খান।

উল্লেখ্য, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে “ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস (IPR)” শীর্ষক সাবকমিটি গঠন করা হয়। উক্ত সাব কমিটির প্রণয়নকৃত সময়াবদ্ধ পরিকল্পনাসহ কৌশলপত্র আজকের কর্মশালায় উপস্থাপন করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন দেশে | মেধাসম্পদের | বিকাশ | ও | সংরক্ষণের | কোনো | বিকল্প | নেই | | শিল্পমন্ত্রী