কারা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে, তাদের নাম জানতে চাই। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তার বিরুদ্ধে নাকি নতুন করে চক্রান্ত শুরু হচ্ছে। তাকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে এবং তিনি তাদের চেনেন। আপনি দয়া করে তাদের নামগুলো উচ্চারণ করুন। কারা চক্রান্ত করছে, পরিষ্কার করে বলুন। তাদের নাম জানতে চাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারকে সরানোর আন্দোলন কোনো চক্রান্ত নয়। আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বলতে চাই, জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এর জন্য আপনারা আমাকে যদি ফাঁসি দিতে চান, দিন। এখানে চক্রান্তের কোনো প্রশ্ন উঠতে পারে না, ষড়যন্ত্রেরও না। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রের পক্ষে ছিল না। প্রকৃতপক্ষে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা মুখে বলবে ভালো কথা, কিন্তু কাজ করে তার উল্টোটা। আওয়ামী লীগ এখানেই সবচেয়ে বড় অপরাধী। তারা আমাদের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা, অর্জন, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা যা অর্জন করেছি, সেগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচারবিভাগ ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, একজন মেধাবী ছাত্র বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে এলেও চাকরি পাবে না। কারণ, বর্তমানে ডিএনএ টেস্ট করে চাকরি দেওয়া হয়। সেখানে যদি ন্যূনতম গন্ধ থাকে, তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষের লোক নন বা বিরোধী দলের কারও আত্মীয়, তাহলে তিনি চাকরি পাবেন না।
বিআ