আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

১৯ ম্যাচ পর জিম্বাবুয়ে কাছে হারলো বাংলাদেশ

১৯ ম্যাচ পর জিম্বাবুয়ে কাছে হারলো বাংলাদেশ

দুই ব্যাটার ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজার জোড়া সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের কাছে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অসহায়ভাবে হারলো সফরকারী বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।

শুক্রবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে কাইয়ার ১১০ ও রাজার অপরাজিত ১৩৫ রানের উপর ভর করে জিম্বাবুয়ে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। এতে নয় বছর ও ১৯ ম্যাচ পর জিম্বাবুয়ে কাছে হার বরণ করলো তামিম ইকবালের দল।

২০১৩ সালে মে মাসে বুলাওয়েতে সবশেষ জিম্বাবুয়ের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিলো বাংলাদেশ।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস শুরুটা করেছিলেন সতর্ক। দুজনের ১১৯ রানের উদ্বোধনী জুটি বাংলাদেশকে এনে দেয় শক্ত ভিত। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৮ হাজার রান করার পর তামিম ফিরলেও আনামুলকে নিয়ে লিটন যোগ করেন মাত্র ৪৫ বলে ৫২ রান।

সিকান্দার রাজার করা ইনিংসের ৩৪তম ওভারের প্রথম বল ১ রানের জন্য ঠেলে দিয়েই মাটিতে বসে পড়েন লিটন। শতক থেকে ১৯ রান দূরে থাকা লিটন ৮৯ বল থেকে ৯ চার এবং ১ ছয়ে ৮১ রান করে স্ট্রেচারে করে মাঠ ত্যাগ করেছেন।

পরে আমানুল হক ৭৩ রানে বিদায় হলেও মুশফিক করেন ৫২ রান। মাহমুদুল্লাহ ১২ বল খেলে ২০ রান যোগ করেন দলের ঝুলিতে। সব মিলিয়ে ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে টোইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০৩ রানে।

অপরদিকে, জিম্বাবুয়ের পক্ষে সিকান্দার রাজা ও ভিক্টর নিয়ুচি একটি করে উইকেট পান।

জয়ের জন্য ৩০৪ রানের টার্গেট পায় জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে মহাবিপদে পড়ে তারা। বাংলাদেশের দুই বাঁ-হাতি পেসারের তোপে ২ ওভারেই ২ উইকেট হারায় তারা। পরে সর্তকতার সাথে পা বাড়ায় জিম্বাবুয়ে।

দুই বার জীবন পেয়ে ৩৯তম ওভারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচেই প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান কাইয়া। ঐ ওভারের শেষ বলে ১১৫তম ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরি করেন রাজা। তাই কাইয়া ও রাজার জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জয়ের পথ পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। শেষ ১০ ওভারে ৬২ রানের দরকার পড়ে জিম্বাবুয়ের। অবশেষে ৪২তম ওভারে কাইয়া-রাজা জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক। ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১২২ বলে ১১০ রান করেন কাইয়া। চতুর্থ উইকেটে ১৭২ বলে ১৯২ রানের ম্যাচজয়ী জুটি গড়েন তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি কাইয়া ও রাজার। কাইয়া যখন ফিরেন তখন ৪৯ বলে ৫০ রান দরকার ছিলো জিম্বাবুয়ের। বাকী কাজটুকু সাড়তে সাবধানে এগোতে থাকেন রাজা ও লুক জংওয়ে।

৪ ওভার বাকি থাকতে ২১ রান দরকার ছিলো জিম্বাবুয়ের। মুস্তাফিজের করা ৪৭তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন জংওয়ে। দ্বিতীয় বলে লং-লেগে তাসকিনকে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান জংওয়ে। তৃতীয় বলে চার মারলেও পরের ওভারের প্রথম মিরাজের শিকার হন তিনি। ১৯ বলে ২৪ রান করেন তিনি। এরপর দলের বাকী ৮ রানের প্রয়োজন মিটিয়েছেন রাজা ও শুম্বা। ৮টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১০৯ বলে অপরাজিত ১৩৫ রান করে ম্যাচ সেরা হন রাজা। ১ রানে অপরাজিত ছিলেন শুম্বা।

বল হাতে ১টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ-শরিফুল-মিরাজ ও মোসাদ্দেক।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ১৯ | ম্যাচ | জিম্বাবুয়ে | কাছে | হারলো | বাংলাদেশ