বাজারে ডিমের হালি হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। গেলো সপ্তাহেই ডিমের হালি ছিলো ৪৫ টাকা। এদিকে কমেনি সবজির দামও।
শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানী ও এর আশপাশের বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।
ক্রেতারা জানান, বাজারে সরবরাহ কম এমন নানান অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরে ডিমের দাম বেড়েই চলছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার জানান, সারাদেশে মেসেজের মাধ্যমে তেজগাঁওয়ের আড়তমালিকরা ডিমের দাম নির্ধারণ করে। হুট করে তারা দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে, এরপর আবার দাম বাড়িয়ে এ সিন্ডিকেট মুনাফা লুটছে।
এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ঢাকার আড়তগুলোতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ ডিম বিক্রি হলেও তারা সারাদেশে বিক্রিত ৪ কোটি ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে। প্রতিদিন তারা মেসেজ দিয়ে বাজারদর জানিয়ে দেয় সারাদেশে থাকা আড়তদারদের। তারা এখন ডিমের বাজারে সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট।
মালিবাগ বাজারে ডিম কিনতে আসা আফজাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভাবা যায় এক ডজন ডিম কিনলাম ১৬০ টাকায়! যা কিছুদিন আগেই ছিল ১২০ টাকা। হঠাৎ করে ডজনে ৪০ টাকা বেড়ে গেল অথচ সংশ্লিষ্ট কারও কোনো উদ্যোগ নেই বাজার নিয়ন্ত্রণের।
এদিকে কমেনি মুরগির দামও, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৮০-৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭২০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছে সপ্তহহের ব্যবধানে কেজি প্রতি সবজির দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে , প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৯০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাঁচা মরিচ ১০০-১২০ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬০০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি ইলিশ সাইজ ভেদে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকায়।
প্রসঙ্গত, বাজার নিয়ন্ত্রণে জোরদার তদারকির দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আই/এ