দুর্নীতির মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন (লিভ টু আপিল) খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। এতে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রয়েছে।
আজ বুধবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সম্রাটের পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এবং দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন।
গেলো ৬ জুলাই সম্রাটের জামিন শুনানি ও মামলার চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাট অসুস্থ থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে না পাঠিয়ে কাস্টডি ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) পাঠান। এরপর বিচারক সম্রাটের জামিন শুনানি ও চার্জগঠন শুনানির জন্য ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
গেলো ৮ আগস্ট সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়।
এর আগে গেলো ২১ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে সম্রাটের জামিন শুনানি ও মামলার চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিনই সম্রাট অসুস্থ থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ হাজতি পরোয়ানা পাঠালে বিচারক জামিন ও চার্জগঠন শুনানির জন্য ৬ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন।
এর আগে গেলো ১১ মে এ মামলায় সম্রাটকে জামিন দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। এদিন সব মামলায় জামিন পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান সম্রাট।
এরপর গেলো ১৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়।
গেলো ২৩ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে সম্রাটের আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত। গেলো ২৪ মে সম্রাট বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। একই বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। গেলো ২২ মার্চ দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠানো হয়।