দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশ শ্রীলঙ্কায় এবার রেকর্ড পরিমাণে বাড়লো বিদ্যুতের দাম। দেশটির একমাত্র রাষ্ট্র-চালিত বিদ্যুৎ সংস্থা সর্বনিম্ন গ্রাহকদের জন্য বিল ২৬৪ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বেশি মাত্রায় বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য দাম বাড়ানো হচ্ছে তুলনামূলক কম।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সিলন ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ড (সিইবি)।
লোকসানে থাকা সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ড (সিইবি) জানায়, গেলো বুধবার (৯ আগস্ট) থেকে বিদ্যুতের উচ্চহারে মূল্যবৃদ্ধির অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রকরা। তবে ৯ বছরের মধ্যে প্রথমবার দেশটিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ল। সংস্থাটির ৬১৬ মিলিয়ন ডলারের লোকসান পুষিয়ে নিতে এ সিদ্ধান্ত নে.য়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, সিইবি বিদ্যুতের দাম ৮০০ শতাংশের বেশি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রকরা এটি সর্বোচ্চ ২৬৪ শতাংশ বাড়ানোর অনুমতি দেন।
কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ব্যবহারকারীদের দুই-তৃতীয়াংশ মাসে ৯০ কিলোওয়াটের কম ব্যবহার করে ৭৮ লাখ পরিবারের জন্য সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে। তবে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ।
ছোট ভোক্তাদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দিতে হতো ২ দশমিক ৫০ শ্রীলঙ্কান রুপি। দাম বাড়ায় তাদেরকে ইউনিটপ্রতি দিতে হবে ৮ রুপি। বড় ভোক্তাদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দিতে হতো ৪৫ রুপি। কিন্তু দাম বাড়ায় তাদের ইউনিটপ্রতি দিতে হবে ৭৫ রুপি।
খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধের মতো সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কা বর্তমানে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।
সিইবি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত তেল কিনতে না পারায় দেশটিতে দীর্ঘসময় ধরে ব্ল্যাকআউট হচ্ছে। এছাড়া শ্রীলঙ্কায় উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি বিরাজমান।
শ্রীলঙ্কা ৫১ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম হওয়ায় সরকার এপ্রিলে দেশটিকে খেলাপি ঘোষণা করেছে এবং বেলআউটের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনা করছে।
এসি