বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। নিপুন আক্তারের রিটে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২০ মে) রুলসহ এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে সমাজসেবা অধিদফতরের স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক। এ সময় তিনি বলেন, ‘সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের নিয়ে অভিযোগ ছিল। বিশেষ করে, সাধারণ সম্পাদক পদে যাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, মনোয়ার হোসেন ডিপজল ভোটারদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করেছেন, টাকা-পয়সা দিয়েছেন এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই আদালত সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, কর্তৃপক্ষ যেন তাঁকে এই পদে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখে।’
এ আইনজীবীর ভাষ্য, মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নির্বাচন বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন নিপুন আক্তার। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিপজলকে চিঠিও দিয়েছিল নির্বাচন বোর্ড। কিন্তু এরপর আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ অবস্থায় নির্বাচন হয় এবং নির্বাচনেও তারা কারচুপি করে। এসব অভিযোগ উল্লেখ করে নিপুন আক্তার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আরেকটি আবেদন করেছিলেন, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় নিপুণ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
গেল ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদের নির্বাচনে মাত্র ১৬ ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলের কাছে হেরে যান নিপুণ । ফলাফল ঘোষণার পর ডিপজল ও মিশাকে ফুলের মালা পরিয়ে অভিনন্দন জানালেও পরবর্তীতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল এবং পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে গেল ১৪ মে রিট করেন নিপুণ।
এসআই/