আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ময়নাতদন্তে বেড়িয়ে এলো সেই শিক্ষিকার মৃত্যুর রহস্য

ময়নাতদন্তে বেড়িয়ে এলো সেই শিক্ষিকার মৃত্যুর রহস্য

নাটোরে নিজের থেকে কম বয়সি ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকা আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়। জানিয়েছেন নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ রায়।

রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

ডা. পরিতোষ রায় বলেন, ময়নাতদন্তে কলেজ শিক্ষিকার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে শ্বাসরোধ হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট আসলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

এদিকে, রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় তার চাচাতো ভাই সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, রোববার রাতে কলেজশিক্ষিকার চাচাতো ভাই সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। মামলায় কাউকে অভিযুক্ত না করায় আটক মামুনকে (ওই শিক্ষিকার স্বামী) ৫৪ ধারায় সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে কলেজ শিক্ষিকা আত্মহত্যা করেন বলে দাবি স্বামী মামুনের (২২)।

রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বালারিপাড়া এলাকার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।

খায়রুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। মাত্র ছয় মাস আগে কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে করেছিলেন খায়রুন নাহার। তার রাজশাহীর বাঘায় প্রথম বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক কলহে সংসার বেশি দিন টেকেনি তার। তবে ওই ঘরে একটি সন্তান রয়েছে।

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের পরিচয় হয় মামুন হোসেনের সঙ্গে। এরপর থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা।

এর আগে গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিয়ের খবরটি ভাইরাল হয়। এতে সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ময়নাতদন্তে | বেড়িয়ে | এলো | শিক্ষিকার | মৃত্যুর | রহস্য