বিতর্ক আর সমালোচনার আরেক নাম যেনো শামসুন্নাহার স্মৃতি। যিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি।বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডে বারবার গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছেন পরীমণি। তাকে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি সাবেক স্বামী শরিফুল রাজকে নিয়ে তার কিছু বক্তব্যে আবারও তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।
প্রায় বছর হতে চললো রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে পরীমণির। এ সময়ে রাজ পরীর মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল। ছেলের প্রতি দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকবার রাজের সমালোচনাও করেছেন। তবে রাজের ব্যাপারে পুরো ভোল পাল্টিয়ে পরীমণির কণ্ঠে এখন নতুন সুর। রাজের প্রতি তার সুর অনেকটা নরম হয়েছে। এখনো মায়া অনুভব করেন আগের মতোই। এমনটাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢালিউডের এই নায়িকা।
পরীর কথা মনে হচ্ছে রাজের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ যেন গলতে শুরু করেছে। ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, মাসখানেক হলো রাজ নাকি পরীর বাসায় যাতায়াত করছেন। এরমধ্যে কয়েকটি অনুষ্ঠানেও দুজনকে একসঙ্গে দেখা হয়েছে। সন্তানকে দেখার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার পরীর বাসায়ও গেছেন রাজ। বিষয়টি স্বীকার করে পরীমনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অন্য একটি বিষয়ের জন্য রাজ বাসায় এসেছিল। বিচ্ছেদ হওয়ার পর আমার সঙ্গে দেখা হয়নি। আমি দেখা করতেও চাইনি। বাসায়ও আসা মানা ছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে আমার বাসায় এসেছিল। তাঁর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে।’
একসময় রাজকে বাসায় ঢুকতে দেবেন না বলে ঘোষণা দেয়া পরী আরো বলেন, ‘কেউ বাসায় এলে তো আর বের করে দিতে পারি না।আমি রান্না করেছিলাম। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেছি।’ তবে রাজ যাতায়াত করলেও তাদের সম্পর্ক শীতল হয়নি বলে জানান পরীমনি। এজন্য রাজকে দায়ী করে অভিনেত্রী বলেন, ‘শীতল তো হতেই পারত, কিন্তু রাজই সেটা মেইনটেইন করেনি। সন্তানকে ঘিরে সুন্দর সময় কি কাটে না বাবা-মায়ের? কিন্তু রাজের বিষয়টি ভিন্ন। ও বাচ্চাকে সময় দেয়নি। সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়নি। শখ করেও কোনো দিন সন্তানকে খেলনা পর্যন্ত কিনে দিতে দেখলাম না। আমার মনে হয়, ও সন্তানের মর্মই বোঝে না।’
এ কারণে ছেলে পুণ্যের সঙ্গে বাবা রাজের যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে সেটাও বলেন পরীমণি, ‘পুণ্যকে কোলে নিতে চাইলেও রাজকে বাবা হিসেবে এখনও চিনতে পারে না পুণ্য। অথচ আগে রাজ ছাড়া পুণ্য কিছুই বুঝত না। এটি রাজের জন্য নির্মম।’ তবে রাজ এখন অতীত দাবি করে পরীমণি বলেন, ‘রাজ এখন আমার কাছে ঘৃণার পাত্র।’ অবশ্য রাজের প্রতি যে পরী এখনো মায়া অনুভব করেন, সেটা লুকাতে পারেননি।
এ বিষয়ে রাখঢাক না রেখেই পরী বলেন, ‘মায়া আছে বলেই তো বাসায় ঢুকতে দিয়েছি। হাজার হলেও সে আমার সন্তানের বাবা। তাই বলে সে চাইলেই সব সময় বাসায় আসতে পারবে না। তার প্রতি আমার ঘৃণা থাকতেই পারে। তবে সে যেখানেই থাকুক, ভালো ভালো কাজ করুক, ভালো থাকুক। কারণ, সন্তানের সুন্দর জীবনের জন্য বাবাকেও ভালো থাকতে হয়।’
এসআই/