নোয়াখালীর চাটখিলে ফার্মেসিতে কলেজছাত্রীকে (১৮) ধর্ষণের দায়ে নুর হোসেন পলাশ নামে কথিত এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে পৌর বাজার এলাকার রক্তিম রোজ মেডিসিন পার্ক নামে তার চেম্বারটি সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন।
রোববার (২ জুন) সন্ধ্যায় চাটখিল পৌর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নুর হোসেন পলাশ চাটখিল পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোবিন্দপুরের গনি মিয়ার বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে। অন্যদিকে ওই ছাত্রী চাটখিল মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক মামলা ও গ্রেপ্তাররের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কলেজছাত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় তাকে সোমবার (০৩ জুন) আদালতে পাঠানো হবে।
অভিযোগে জানা গেছে, নুর হোসেন পলাশ ওষুধ দোকানের পাশাপাশি নিজেকে মা ও শিশু এবং চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখতেন। গেলো ২৬ মে বিকেলে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর মেডিকেল রিপোর্ট দেখার কথা বলে চেম্বারে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন পলাশ। বিষয়টি কাউকে না বলতে ওই ছাত্রীকে ভয়ও দেখান তিনি।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, মেয়ের বাবা বেঁচে নেই। ছোট চাকরি করে মেয়েকে পড়ালেখা করাচ্ছি। ঘটনাটি প্রথমে লজ্জায় আমাকে বলেনি। পরে রোববার মেয়ে আমাকে চিরকুট লিখে বিষয়টি জানালে থানায় অভিযোগ করা হয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে চাটখিল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে সন্ধ্যায় অভিযুক্ত নুর হোসেন পলাশের ফার্মেসিটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। চিকিৎসক পরিচয় দেয়ার মতো কোনো কাগজ না থাকলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাটখিল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত নুর হোসেন পলাশ মাঝে-মধ্যে ওই ছাত্রীর মামা পরিচয় দিয়ে আমার কাছে আসতেন। বিস্তারিত শুনে আমি অবাক হয়েছি। আমরা ওই প্রতারকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।