আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

নতুন জোটের আলোচনায় জাপা

নতুন জোটের আলোচনায় জাপা

দেশের বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে গিয়ে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন জাতীয় পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতারা।

আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতারা।

জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বাইরে গিয়ে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি জোট করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে জিএম কাদেরের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। মাথা উচু করে দাঁড়ালেই সাধারণ মানুষের আস্থার ঠিকানা হতে পারে জাতীয় পার্টি।

বৈঠকে জাপা নেতাদের মধ্যে চেয়ারম্যান জি এম কাদের ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম।

বৈঠকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষে ছিলেন সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার।

জি এম কাদের বলেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ভোটের ওপর সাধারণ মানুষের কোনো আস্থা নেই। তারা মনে করছে, কারচুপি করতেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট করতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করছে। দুর্নীতিতে দেশ ভেসে যাচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ী, আমলা আর রাজনীতিবিদ মিলে একটি চক্র ব্যবসার নামে দেশে লুণ্ঠন চালাচ্ছে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশে রাজনীতির অবস্থা এমন হয়েছে যে, নির্বাচনে যারা পরাজিত হবে তারা যেন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কেউ দেশ ও মানুষের কথা বললেই তাকে দমিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই তাকে দেশদ্রোহী হিসেবে গণ্য করা হয়। দেশের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে। দেশের মানুষ এমন রাজনৈতিক পরিবেশ দেখতে চায় না।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, মানুষের মর্যাদা ও অধিকার আদায়ের জন্যই এখন কট্টর বিএনপি ও কট্টর আওয়ামী লীগ থেকে সম-দূরত্ব বজায় রেখে সব রাজনৈতিক শক্তিকে এক মোহনায় পৌঁছতে হবে। পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে জিএম কাদেরের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কোনো কূটকৌশল নয়, শুধু সাহস নিয়ে মাথা উচু করে দাঁড়ালেই সাধারণ মানুষের আস্থার ঠিকানা হতে পারে জাতীয় পার্টি।

তিনি বলেন, এমন বাংলাদেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। দেশে মানুষের অধিকার ও মর্যাদা নেই। গণভবনের একজন কর্মচারীর যে সম্মান আছে, তা এখন মন্ত্রী-এমপিদেরও নেই। সরকারি কর্মচারীরা এখন লাগামহীন। এভাবে দেশ চলতে পারে না। মানুষের সম্মান ও মর্যাদার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনার প্রতি সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল, বর্তমান সরকার মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি এখন আর কারও জোটে নেই। কারও বি-টিম হয়েও রাজনীতির মাঠে নেই জাতীয় পার্টি। নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে জাতীয় পার্টি এগিয়ে চলছে। আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে সাধারণ মানুষের দরোজায় যাবে জাতীয় পার্টি। 

বিআ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নতুন | জোটের | আলোচনায় | জাপা