কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কক্সবাজারের খামার মালিকরা। কক্সবাজারে এবছর চাহিদার তুলনায় ২১ হাজার ৬৭৩ টি পশু বেশি মজুদ রয়েছে। জেলায় বাজার ধরতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৭ গবাদিপশু। চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ১৪টি।
শনিবার (৮ জুন) এ তথ্য জানায় কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।
কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই পশু গুলোর মধ্যে গরু (ষাঁড়, বলদ,গাভী) ১ লাখ ৪৮৯টি, মহিষ ৫ হাজার ১০৫ টি, ছাগল ৮ হাজার ৪১৭ টি, ভেড়া ১০ হাজার ৬৭৬টি।
এবারের ঈদে কক্সবাজার জেলায় সাপ্তাহিক হাটসহ ছোট-বড় ৯৪টি কোরবানি পশুর হাট বসতে যাচ্ছে । এর মধ্যে স্থায়ী হাট রয়েছে ৪৮ টি এবং ঈদুল আযহা উপলক্ষে অস্থায়ী হাটের সংখ্যা ৪৬টি।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, সর্বসাধারণ যাতে নির্বিঘ্নে পশু ক্রয় বিক্রয় করতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি বাজারে ১টি করে পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করবে পাশাপাশি সাদা পোশাকে ও বিশেষ পুলিশ সদস্যরা আলাদাভাবে মোতায়েন থাকবে।
টেকনাফের হ্নীলা এগ্রো ফার্মের সত্বাধিকারী তারেক মাহমুদ রনি বলেন, এবছর প্রচুর পরিমান পশু খামারে মজুদ করা হয়েছে। ছোট বড় ও মাঝারী ধরনের একদম ঘরোয়া পশু পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে তিনি হ্নীলা নাফ ফিলিং ষ্টেশনের পাশে পশু প্রদর্শনী ও বিক্রি করছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন জানান, গবাদিপশুকে যেন কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার না করে সেজন্য খামারি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। প্রতি বছরের মতো এবছরও প্রতি হাটে মেডিকেল টিম বসানো হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আই/এ