আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রেললাইন নির্মাণে ভারতের সঙ্গে চুক্তি সই

রেললাইন নির্মাণে ভারতের সঙ্গে চুক্তি সই

পর্যায়ক্রমে দেশের সকল রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হচ্ছে। এছাড়া রেললাইন সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে যে প্রকল্প নেয়া হচ্ছে সবগুলোকেই আমরা ব্রডগেজ আকারে করছি। ভারতীয় অর্থায়নে এ প্রকল্প নির্মিত হবে। বললেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত মিটার গেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর এবং খুলনা-দর্শনা সেকশনে নতুন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কনসালটেন্সি সার্ভিসের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।    

মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় অর্থায়নে এ প্রকল্প দুটি নির্মিত হবে। পার্বতীপুর কাউনিয়া ডুয়েল গেজ নির্মিত হলে ভবিষ্যতে আমরা ভারত ছাড়াও নেপাল, ভুটানের সাথে কানেক্টিভ বাড়াতে সক্ষম হব এবং এর ফলে আমাদের যাত্রীসহ মালামাল পরিবহনের সুযোগ বাড়বে। 

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, পর্যায়ক্রমে দেশের সকল রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হচ্ছে। আমাদের দেশের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ এবং মিটারগেজ দ্বারা দুই অঞ্চলে বিভক্ত।  আমরা পর্যায়ক্রমে সকল রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করছি। ভারতের সকল রেললাইন ব্রডগেজে। আমরাও দেশের গেজ ব্যবস্থাকে একরকম ব্রডগেজে রূপান্তর করছি। এছাড়া রেললাইন সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে যে প্রকল্প নেয়া হচ্ছে সবগুলোকেই আমরা ব্রডগেজ আকারে করছি।

তিনি বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে, একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেন। দেশের প্রতিটি জেলায় রেল সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। রেলের উন্নয়নে অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে অনেকগুলোর কাজ চলমান আছে।

মন্ত্রী বলেন, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হবে। এছাড়া ঈশ্বরদী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনের প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি। ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে যে ৮টি ইন্টার সেকশন বন্ধ হয়েছিল ইতোমধ্যে ৫টি  চালু হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে। 

খুলনা-দর্শনা সেকশনে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী এবং কনসালটেন্ট সার্ভিস ভারতীয় স্টুপ কনসালটেন্ট ও আরভি এসোসিয়েটস জয়েন্ট ভেঞ্চার এর পক্ষে মো. আসাদ। এ প্রকল্পের আওতায় খুলনা দর্শনের মধ্যে পুরনো লাইনের পাশাপাশি নতুন ১২৬ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মিত হবে। কনসালটেন্সি সার্ভিসের চুক্তিমূল্য ৮৭ কোটি ৩৭ লাখ ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা।  

অন্য একটি প্রকল্প পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর প্রকল্পের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক লিয়াকত শরীফ খান এবং ভারতীয় কনসালটেন্সি সার্ভিস আরভি এসোসিয়েট এবং স্টুপ কনসালট্যান্টস  লিমিটেড জয়েন্ট ভেঞ্চার এর পক্ষে অভিক ভট্টাচার্য। কনসালটেন্সি সার্ভিস এর চুক্তিমূল্য ৭৫ কোটি ৮৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৯০ টাকা। এই প্রকল্পে ৫৭ কিলোমিটার মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে। উভয় প্রকল্পই ভারতীয় এলওসি এর অর্থায়নে হবে।

 

বিআ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন রেললাইন | নির্মাণে | ভারতের | সঙ্গে | চুক্তি | সই