মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে কিছু সংশোধনের দাবি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। বুধবার (১২ জুন) কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
জো বাইডেনের প্রস্তাবে ইসরাইলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে একটি যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় ইসরাইলি জিম্মিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে। এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের মাধ্যমে যুদ্ধের স্থায়ী সামাধানের কথাও বলা হয়। তবে, হামাসের পাল্টা প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় প্রস্তাব অনেকটা ঝুলে গেল।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগের আলোচনায় গৃহীত শর্তাবলী সংশোধন করতে চেয়ে পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। ব্লিঙ্কেনের মতে, হামাসের নতুন প্রস্তাবের মধ্যে অনেক বিষয় কার্যকর করার মতো, আবার কিছু আছে কার্যকর সম্ভব নয়।
তবে, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিশর এবং আমেরিকা কাজ চালিয়ে যাবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের আলোচকরা যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করার জন্য কয়েক মাস ধরে চেষ্টা করে আসছে। হামাস প্রায় দুই সপ্তাহ অপেক্ষার পর এই পরিবর্তনের প্রস্তাব দিল।
এ প্রস্তাবের বিষয়ে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো থেকে ইজ্জাত আল-রিশক আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, মার্কিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি ‘দায়িত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক’। এ ছাড়া প্রস্তাবটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য বিস্তৃত পথ উন্মুক্ত করবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ জুন) মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিশরের কাছে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে নিজেদের লিখিত প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের কাছে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি চায় হামাস।
এক বিবৃতিতে, চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ। জাতিসংঘে পাস হওয়া প্রস্তাবকে হামাসের গ্রহণ করার বিষয়টিকে আশাব্যঞ্জক বলছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
উল্লেখ্য, গেলো ৩১ মে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই প্রস্তাবের মূল কথা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি আর ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেয়া।
প্রথম ধাপে হবে জিম্মি ও বন্দি বিনিময় এবং সাময়িক যুদ্ধবিরতি। দ্বিতীয় ধাপে সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়া। গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সরিয়ে নেয়া। আর তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।