খাদ্য মজুত করে কেউ যেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে না পারে সেজন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে। দেশে প্রতি বছর ৪ কোটি টন ধান উৎপাদন হয়। এই ধান থেকে উৎপাদিত চালগুলোকে চকচক করার জন্য ৫ বার পলিশ করা হয়। ফলে বছরে ১৬ লাখ টন চাল উৎপাদন কম হয়। বললেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে শেষে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ধান থেকে চাল চকচকের জন্য পালিশ করা হয়। এতে চালের গুণগত মান নষ্ট হওয়ার পাশপাশি চালের পুষ্টিগুণও নষ্ট হচ্ছে। তাই পুষ্টিগুণ বজায় রেখে ধান থেকে চালের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয় কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করেই যখন চালের দাম বাড়ে তখন খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন মিল মালিকরা দাম বেশি নেন,এজন্য তাদেরকে দাম বাড়াতে হয়। ভোক্তাদের সুবিধার্থে এখন থেকে বস্তায় ধানের জাত,ওজন, উৎপাদনের তারিখ এবং মিলগেটে কত দাম সেটি লিখতে হবে। যাতে করে খুচরা ব্যবসায়ী না বলতে পারেন যে তারা বেশি দামে কিনেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। কোভিড ও বিভিন্ন দেশের যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছিল কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা হাইড করেছেন। জনগণকে হতাশ করেননি। বিচক্ষণতার মোকাবিলা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু বিপণন ব্যবস্থা নিশ্চিতে সরকার আইন প্রণয়নসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সে আলোকে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভর্তুকিসহ উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। যেখানে আগে বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ মণ ধান হতো এখন ৩০ থেকে ৩৫ মণ ধান হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে খাদ্যমন্ত্রী নির্মাণাধীন আশুগঞ্জ রাইস সাইলো পরিদর্শন করেন
আই/এ