সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে নাটোরের কলেজছাত্রী ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে পরিচয় হয় চীনা যুবক লি সি জাংয়ের। পরে সেই পরিচয় রূপ নেয় প্রেমের সম্পর্কে। এরপর প্রেমের টানে ওই চীনা যুবক নাটোরে এসে বিয়ে করেন বাংলাদেশি ফাতেমা খাতুনকে।
গেলো বৃহস্পতিবার (২০ জুন) নাটোরে এসে মুসলিম রীতি অনুযায়ী দু’জনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। আর বিয়ের আগে ওই চীনা যুবক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
ফাতেমা নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে ও নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গেলো বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া গ্রামে আসেন চীনা যুবক লি সি জাং। এরপর বৌদ্ধ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর বিয়ে করেন ফাতেমাকে। এ সময় নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন আলী।
এ বিষয়ে ফাতেমা খাতুন বলেন, আমাকে ভালোবেসে লি সি জাং বাংলাদেশে এসেছে। সে আমার জন্য তার নিজের ধর্ম ত্যাগ করেছে। সুখ-দুঃখে আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই। একই সময় ফাতেমা তার স্বামীর সঙ্গে চীনে চলে যাওয়ার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন।
নিজেকে চিকিৎসক দাবি করে লি সি জাং ওরফে আলী বলেন, আমি ফাতেমাকে বিয়ে করতে পেরে খুশি। আমি আমার ভালোবাসার মানুষের জন্য ধর্ম পরিবর্তন করেছি। আশা করি আমরা সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে পারবো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্পর্কের পর তাদের বিয়ে হয়েছে বলে জেনেছি। মেয়েটি শিক্ষিত, আগে থেকেই বিদেশি ভাষা শিখতো। বিদেশ থেকে অনেকে এসে বাংলাদেশে বিয়ে করছে। এ ঘটনা বিভিন্ন এলাকায় ঘটলেও আমাদের এলাকায় প্রথম। আমি দোয়া করি তাদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়।
এদিকে, চীনা যুবক লি সি জাং ওরফে আলী ও ফাতেমার বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাদের দেখতে এলাকায় ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।