৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের আশায় জীবন্ত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) নিয়ে প্রেসক্লাবে হাজির হয়েছেন রেজাউল খান (৩২) নামে এক কৃষক। তবে সাপটি জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নেয়ার জন্য বন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে বন বিভাগ প্রাপ্তী স্বীকারপত্র দিতে অপরগতা প্রকাশ করে। এর আগে ফরিদপুরে প্রতিটি রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) মারার বিপরীতে ৫০ হাজার করে টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
রোববার (২৩ জুন) জীবন্ত সাপ ধরার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া।
কৃষক রেজাউল জানান, ফসলি জমিতে চাষ করার সময় রাসেলস ভাইপারটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সেটিকে অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে ভরে প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দেন।
ফরিদপুর পৌরসভার ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন বলেন, সাপ ধরার বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাপটি বন বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যেতে বলেছেন।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া জানান, সরিসৃপ জাতীয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান রেই। ধরাটাই একটি অপরাধ। কারো জালে আটকে গেলে সে অন্য কথা। তাই আইনগতভাবে তিনি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দিতে পারেন না। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন বিভাগে অন্তত তিনজন পুরস্কারের আশায় এক হাত লম্বা দৈর্ঘ্যের বাচ্চা রাসেল ভাইপার জমা দেয়া চেষ্টা করছে। এ নিয়ে তারা বিপদের মুখে পড়েছেন।
আই/এ