এশিয়া কাপের ১৫তম আসরের গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ হেরে বিদায় নিলো দুই আসরের ফাইনালিস্ট বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হারে সাকিবরা। পরের ম্যচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশাল রান করেও বোলিংয়ের কারে হেরে যা টাইগাররা।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন লালসবুজের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাখ্যা দেন কেন বিদায় নিতে হয়েছে এশিয়া কাপ থকে। কেনইবা শেষ ম্যাচে হারলেন। আর সামনের দিনে কি করতে হবে- সবই আসে তার বক্তব্যে।
ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে বোলারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি রিভিউ বিভ্রাটকেও দোষারোপ করা হচ্ছে।
বিশেষ করে লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিসের বেলায় একটি রিভিউ না নিয়ে তাকে জীবন পাইয়ে দেন সাকিব। ৩২ রানে ব্যাট করছিলেন মেন্ডিস তখন। আর সেই মেন্ডিসই ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচ জেতান।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কেন সেই রিভিউ নিলেন না সে প্রশ্ন উঠে। জবাবে সাকিব জানান, তাকে রিভিউ নেয়ার কথা বলেনি কেউ।
সাকিব বলেন, কেউই শুনেনি আসলে। এখন কি বলব। আমি তো কাভারে ছিলাম, আমি শুনতে পাইনি। পয়েন্টে যে ছিল, শর্ট মিড উইকেটে যে ছিল কেউই বলেনি যে ভাই, নেন রিভিউটা। বা ভাই রিভিউটা নেওয়া যেত। বোলার থেকে শুরু করে কেউই বলেনি।’
মূলত: রিভিউ নিলে সাজঘরে ফিরতেন মেন্ডিস। ৮ম ওভারের ৫ম বলে এবাদত হোসেনের ডেলিভারিটি খেলতে পারেননি মেন্ডিস। তা মুশফিকুর রহিমের কিপিং গ্লাভসে জমা পড়ে। মুশফিক প্রথমে আবেদন করেন। আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি।
দৌড়ে এসে সাকিব নিশ্চিত হতে চান কোনো শব্দ শোনা গেছে কি না। ইশারায় মুশফিক জানান, বল ব্যাট বা গ্লাভসে লাগার মতো কোনো শব্দ তার কানে আসেনি। বোলার এবাদতও একই কথা জানান। যে কারণে রিভিউ নেননি সাকিব। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, ঠিকই আউট ছিলেন মেন্ডিস।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে আমাদের রটা ম্যাচ আছে। এগুলো অনেক সাহায্য করবে। এটা আমাদের জন্য চোখ খুলে দেয়ার মতো ব্যাপার যে, পেসাররা চাপের সময় কেমন বোলিং করে।
তিনি বলেন, এই ধরনের পিচে, পেসারদের ১২ ওভার বোলিং করতে হবে। আমি বলছি না, ১২ ওভার করতেই হবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩ পেসারের কাছ থেকে ১২ ওভার প্রত্যাশিত থাকবে। অন্তত ভালো ১০ ওভার প্রত্যাশা করবেন।
