আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

‘কারো থেকে ভিক্ষা চেয়ে চলবো না’ (ভিডিও)

‘কারো থেকে ভিক্ষা চেয়ে চলবো না’ (ভিডিও)

পিরোজপুরের পেয়ারা, আমড়া এখন আমরা ঢাকায় বসেই তাজা তাজাই খেতে পারবো। পদ্মা সেতু হওয়াতে যেমন তাজা ইলিশ চলে আসছে, তেমনি পিরোজপুর থেকে শাকসবজি ফলমূল বিশেষ করে পেয়ারা খুব দ্রুত চলে আসবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেকুটিয়ায় কঁচা নদীর ওপর নির্মিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতু’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন,  কোনো ধরনের যুদ্ধ বাধুক আর যাই বাধুক, বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য আমাদের যে উর্বর মাটি আমরা সেটা ব্যবহার করে নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করব। কারও মুখাপেক্ষী হব না। কারো থেকে ভিক্ষা চেয়ে চলব না। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলব। এইভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনাদের চলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতায়াতের ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। এজন্য আমরা সেতু নির্মাণ, রাস্তা নির্মাণ করছি। রাজধানী সঙ্গে অতি সহজেই যেন যোগাযোগ করা যায় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে দিয়েছি, সেখানে একটা ক্যান্টনমেন্টও নির্মাণ করে দিয়েছি, সেখানে নৌঘাঁটি করা হচ্ছে।

বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেকুটিয়ায় কঁচা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি-কোটি মানুষের আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হলো।

২০১৩ সালের ১৯ মার্চ পিরোজপুরের এক জনসভায় কঁচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ-চীন ৮ম মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ৮৯৪ দশমিক ০৮ কোটি টাকা ব্যয় করে ১ হাজার ৪৯৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের এই পিসি বক্স গার্ডার সেতুটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেছে। চীন সরকার এই সেতুটি নির্মাণে ৬৫৪ দশমিক ৮০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য প্রদান করেছে এবং বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করেছে ২৩৯ দশমিক ৮০ কোটি টাকা।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে এটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৫ মাস পূর্বেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শেষ করে সেতু বিভাগের কাছে গত মাসের ৭ তারিখ হস্তান্তর করেন। সেতুর পূর্ব প্রান্তে নদীর তীরে ২২০ মিটার দীর্ঘ ও ৫৫ মিটার প্রস্থের বিনোদন এলাকা উন্নয়ন করা হয়েছে। এছাড়া পূর্ব প্রান্তে এপ্রোচ সড়ক সংলগ্ন ৬০ মিটার দীর্ঘ ও ৫ মিটার প্রস্থের বিটুমিনাস সড়ক, এপ্রোচ সড়কের নিচে ৬০ মিটার দীর্ঘ ও ৫ মিটার প্রস্থের কংক্রিট সড়ক এবং পশ্চিম প্রান্তে ১২০ মিটার দীর্ঘ এবং ৩ দশমিক ৫০ মিটার প্রস্থের কংক্রিট সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ২২০ মিটার নদী শাসনের কাজ করা হয়েছে। এ সেতু প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদ মাহমুদ সুজন জানান চীনের মেজর ব্রিজ রিকনাইসেন্স এবং ডিজাইন ইন্সটিটিউট কোম্পানি লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে চায়না রেইল ওয়াচ ১৭ ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড এই সেতুটি নির্মাণ করে।

টিআর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কারো | ভিক্ষা | চেয়ে | চলবো | ভিডিও