সুনামগঞ্জে রাতভর বৃষ্টি ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এ অঞ্চলে দ্বিতীয় ধাপে বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। এরইমধ্যে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। প্রথম ধাপে বন্যার পানি শুকানোর আগেই আবার বন্যার কবলে পড়ছে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকেই পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি যাদুকাটা নদী হয়ে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুরের পাশের ডুবন্ত অংশ প্লাবিত করেছে। এরপর থেকে এই অংশে খেয়া নৌকা ব্যবহার করছেন যাত্রী ও স্থানীয়রা। এর কয়েক কিলোমিটার পরেই শক্তিয়ারখলা সড়কের একশ মিটার ডুবন্ত অংশও প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া দুর্গাপুর অংশেও পানি উঠেছে। এরইমধ্যে অনেকের বাড়ির আঙিনায় পানি প্রবেশ করেছে।
এরই মধ্যে আগামী তিনদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে এবং পরের পাঁচদিনও এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে গেলো ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে বর্ষার বৃষ্টি ও চেরাপুঞ্জিতে ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ের পাদদেশের নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের কিছু অংশ আবার তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যাত্রী ও এলাকাবাসীকে চলাচলে ব্যবহার করতে হচ্ছে নৌকা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাতে সুনামগঞ্জে নদীর পানি বাড়বে। একইসঙ্গে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় সুরমা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। এই নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, গেলো ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৮৬ মিলিমিটার। এদিকে সারারাত সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হওয়ায় কারণে উজানের পানিতে সীমান্তের নিচু সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
কেএস/