আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

শহিদ মিনারে গাজী মাজহারুলকে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা প্রদান

শহিদ মিনারে গাজী মাজহারুলকে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা প্রদান

স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তি গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেয়া হয়েছে। সেখানে এই মুক্তিযোদ্ধাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় টায় গাজী মাজহারুলের মরদেহ শহিদ মিনারে আনা হয়। এরপর দুপুর ১২টায় তাকে  ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়।

গতকাল রোববার (৪ সেপ্টেম্ব) মাজহারুলের ছেলে সারফরাজ আনোয়ার উপল জানিয়েছিলেন, শহিদ মিনারে  হবে। সেই সঙ্গে সংস্কৃতি অঙ্গন ও সাধারণ মানুষেরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

এরপর গীতিকবির মরদেহ নেয়া হবে বিএফডিসিতে। সেখানে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে তার প্রথম জানাজা। সেই সঙ্গে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন।

বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে রাখা হবে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ। সেখানে হবে দ্বিতীয় জানাজা। এরপর বনানী কবরস্থানে মা খোদেজা বেগমের কবরে তাকে দাফন করা হবে।

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দুই সন্তান। উপল ও দিঠি। এরমধ্যে মেয়ে দিঠি আনোয়ার দেশে নেই। তার জন্যই অপেক্ষা করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে রোববারই তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হয়েছেন। 

গাজী মাজহার সুর আর শব্দের দ্যোতনায় তিনি মোহমুগ্ধ করে রেখেছিলেন কয়েক প্রজন্মের মানুষকে। মুক্তির সংগ্রামে দেখিয়েছিলেন পথ। রোববার তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। কিন্তু তার সৃষ্টি ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বল কি হবে’-বহুকাল ভেসে রবে সুরেরও গগনে, হৃদয়ের গহিনে।

টিআর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন শহিদ | মিনারে | গাজী | মাজহারুলকে | রাষ্ট্রীয় | শ্রদ্ধা | প্রদান