ভারতে আবারো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। গেল ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪৭ হাজার জন। একই দিনে মারা গেছে ২১২ জন। আর সুস্থ হয়েছে ২১ হাজারের বেশি মানুষ।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মূলত ছয়টি রাজ্যে থাবা বসিয়েছে করোনা। আক্রান্তের দিক থেকে এক নম্বরে মহারাষ্ট্র রাজ্য। রাজস্থানের ৮টি শহরে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। করোনা ঠেকাতে সোমবার থেকে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত আজমির, ভিলওয়ারা, জয়পুর, যোধপুর, কোটা, উদয়পুর, সাগওয়ারা এবং কুশলগড়ে শুরু হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ। রাজস্থানে আগামী ২৫ মার্চ থেকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ঢুকতে হবে পর্যটকদের।
এদিকে গুজরাটে হোলি উৎসব পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে গেছে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, রোববার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪২২ জন। রাজ্যটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৮০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে সক্রিয় রোগী সাড়ে তিন হাজারের বেশি। মোট মৃত্যু সংখ্যা ১০ হাজার ৩০৬। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে প্রায় পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার জন।
গেল বছর এই সময়ে ভারতজুড়ে লকডাউন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কায় লকডাউন ঘোষণা করা হলেও সংক্রমণ কমেনি বরং বাড়ে আশঙ্কাজনক হারে।
আজ সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রথম দফায় লকডাউন ঘোষণার এক বছরে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১৬ লাখের বেশি। মোট মারা গেছে এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বে সংক্রমণের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই ভারতের অবস্থান।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতে শুরুর দিকে লকডাউন ঘোষণার প্রথম বছরে এসে গেল ২৪ ঘণ্টায় শুধু মহারাষ্ট্রেই সংক্রমিত হয়েছে সাড়ে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। গেল মাসে দেশটিতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলো পুরোদমে চালুর পর মাহারাষ্ট্রেই শনাক্ত হয়েছে ৬০ ভাগ মানুষ।
গেল ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে মারা গেছে ৯৯ জন। যা একদিনের হিসেবে রাজ্যটিতে মৃত্যুর হার ২ দশমিক ১৫ ভাগ।
এসএন