আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক: প্রধানমন্ত্রী

ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক: প্রধানমন্ত্রী

আমি যখনই ভারতে আসি, এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের, বিশেষ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা আমরা সবসময় স্মরণ করি। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অব অনার প্রদান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। 

ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানের আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু এবং আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো- সামগ্রিকভাবে আমাদের জনগণের উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্থনীতির উন্নয়ন। এই ইস্যুতে আমি মনে করি আমাদের ২টি দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। এতে শুধু ভারত ও বাংলাদেশের মানুষই নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ উন্নত জীবন পেতে পারে। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

এর আগে, মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আজ বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, এই সফরে দুই পক্ষের মধ্যে নদী ইস্যুতে দেশের প্রত্যাশিত তিস্তা ইসুতে নিষ্পত্তির সম্ভাবনা নেই। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলনে সমঝোতা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, বৈঠকে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধসংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে। ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, দুই দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশী চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা বাড়াতে চায়।

দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শীর্ষ বৈঠক শেষে দুই পক্ষের মধ্যে যে সাতটি সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি সই হতে পারে সেগুলো হচ্ছে-কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলন, দুই দেশের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা সংস্থার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন, ভারতের ভূপালের জাতীয় বিচার একাডেমি এবং বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টের মধ্যে সমঝোতা, বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ভারতের রেলওয়ে প্রশিক্ষণকেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেয়াবিষয়ক দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা, দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা প্রচার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সমঝোতা এবং মহাকাশ প্রযুক্তি ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে দুই পক্ষের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমঝোতাসই।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্বালানি ইস্যুতে নেপাল থেকে ভারত হয়ে গ্রিডের মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ আনার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ঢাকার পক্ষ থেকে উপস্থাপন করবেন। পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হবে। এ ছাড়া চলমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জ্বালানি সঙ্কট মোকাবিলায় ভারতের সাথে দীর্ঘ মেয়াদে জ্বালানি ইস্যুতে সহযোগিতার ঘোষণা আসতে পারে। 

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে দেয়া হয়, লালগালিচা সংবর্ধনা। তার সম্মানে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও প্রথম দিন বৈঠক হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে।

টিআর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ভারতের | সঙ্গে | আমাদের | বন্ধুত্বপূর্ণ | সম্পর্ক | প্রধানমন্ত্রী