বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শেষ সময়ে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, নাতনি জাইমা রহমান, প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান, নাতনি জাহিয়া ও জাফিয়া রহমান, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী লীগ শাসনামলে খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। ওই সময় যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় তিনি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনি জটিলতাসহ নানা গুরুতর রোগে আক্রান্ত হন। করোনা মহামারির সময় শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেলেও গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় তাঁকে কার্যত গৃহবন্দি রাখা হয়।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান।
উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি তিনি লন্ডনে যান। সেখানে ১১৭ দিন চিকিৎসা শেষে ৬ মে দেশে ফেরেন। যদিও তার স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছিল, তবে বয়সজনিত দুর্বলতা ও একাধিক রোগের জটিলতায় তিনি ক্রমেই ভেঙে পড়েন।
সবশেষ ২৩ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ ভোরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এমএ//