আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

প্লাস্টিকের থলিতে থরে থরে রাখা ছিলো ৭ কোটি টাকা

প্লাস্টিকের থলিতে থরে থরে রাখা ছিলো ৭ কোটি টাকা

ভারতের কলকাতার গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি থেকে অন্তত সাত কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।

আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

আমিরের বাড়িতে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ ব্যাংক নোট গোনার জন্য মোট আটটি টাকা গোনার মেশিন নিয়ে আসা হয়।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কলকাতা শহরের ছটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। তবে সেই অভিযান শুরুর পর থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও আমিরের হেফাজতে ঠিক কত টাকা রয়েছে, তা জানা যাচ্ছিল না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর দুপুরে অবশেষে ইডি জানিয়ে দেয়, আমিরের দোতলার বাড়ি থেকে সাত কোটিরও বেশি টাকা পাওয়া দিয়েছে।

ইডি জানায়, আমিরের দোতলার বাড়ির একটি ঘরের খাটের তলায় অসংখ্য প্লাস্টিকের থলিতে ভরা ছিল থরে থরে নোটের বান্ডিল। তাতে ৫০০ এবং ২০০০ টাকা নোট রাখা ছিল। ওই টাকা গুনতে স্টেট ব্যাংকের অফিসারদের সাহায্য নেয়া হয়।

সূত্রের খবর, শনিবার সকাল থেকেই নিউটাউন, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা, গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিসহ ছয় জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান ইডি অফিসাররা। একটি মোবাইল অ্যাপ সংক্রান্ত প্রতারণার মামলার তদন্তের অঙ্গ হিসেবেই এই অভিযান বলে সূত্র মারফত জানা যায়। তবে আমিরের গার্ডেন রিচের বাড়িতে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর যাবতীয় অভিযানের কেন্দ্রে চলে আসে শাহি আস্তাবল গলির আমিরের দোতলা বাড়ি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইডি জানিয়েছে, নিসার আহমেদ খানের ছেলে আমির খানের বিরুদ্ধে পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি প্রতারণা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমিরসহ একাধিক ব্যক্তির একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে বহু গ্রাহককে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে মামলা রুজ করা হয়েছে। এই মামলার তদন্তে নেমে শনিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি।

আমিরসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গেলো ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি এফআইআর করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯-সহ প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ-সহ একাধিক ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

ইডির দাবি, ‘ই-নাগেটস’ নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিতেন আমিররা। প্রাথমিক ভাবে ওই অ্যাপের মাধ্যমে খেলায় অংশগ্রহণকারী গ্রাহকেরা কমিশন পেতেন। অ্যাপটির মাধ্যমে নিজেদের ওয়ালেটে অনায়াসে সেই টাকাও তুলতে পারতেন। এ ভাবেই গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনের পর আমিররা তার ফায়দা তুলতেন বলে ইডির দাবি। আরও মোট কমিশনের লোভে গ্রাহকেরা বড়সড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করলে আচমকাই টাকা তোলা বন্ধ হয়ে যেত বলে অভিযোগ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন প্লাস্টিকের | থলিতে | থরে | থরে | রাখা | ছিলো | ৭ | কোটি | টাকা