পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২৮ জুলাই) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবদেন দাখিল করা হয়।
এর আগে, গণমাধ্যমে বেনজীরের দুর্নীতি ও সম্পদের পাহাড় নিয়ে প্রতিবদনের পর নড়েচড়ে বসে দুদক। ঢাকা, গাজীপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ও বান্দরবানে নামে-বেনামে বিভিন্ন সম্পদের তথ্য পায় সংস্থাটি। ধারণা করা হয়, বিপুল অর্থ-সম্পদ বিদেশে পাচার করেছেন তিনি।
দুদক জানায়, অগ্রগতি প্রতিবেদনে তারই তথ্য মিলেছে। বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গেলো ২২ এপ্রিল কমিটি গঠন করে দুদক। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে গেলো ২৩ এপ্রিল থেকে টাকা সরাতে থাকেন সাবেক এই আইজিপি। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা তোলেন বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা ও মেয়ে ফারহিন রিসতা।
সংস্থাটির আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অনুসন্ধান শুরুর পর বেনজীরের টাকা সরিয়ে নেয়া এবং টাকা তোলার তৎপরতা প্রমাণ করে তার অপরাধপ্রবণ মানসিকতা।
তিন দফায় সাবেক আইজিপির প্রায় ৭শ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়। জব্দ রয়েছে, ১২টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাবসহ বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি। দেশে-বিদেশে নামে-বেনামে আরও সম্পত্তি থাকতে পারে বলে ধারণা দুদকের। দুদক আইনজীবী বলেন, মামলার সিদ্ধান্ত শিগগিরই আসবে।
গেলো ২ জুলাই বেনজীর ও তার পরিবারকে সম্পদের হিসাব দিতে নোটিশ জারি করে, দুদক। সময় দেয়া হয়েছে ২১ কর্মদিবস। বেঁধে দেয়া এ সময় শেষ হবে এ মাসের শেষ সপ্তাহে।
কেএস/