আলিয়া-রণবীরের কন্যা রাহা নভেম্বরে দু’বছরে পা দেবে। তবে এই নতুন অধ্যায়ে জীবনে অনেক পরিবর্তন এলেও, বাহ্যিক ভাবে আলিয়া যা ছিলেন, তাই আছেন। মা হওয়ার পর চেহারায় যে বদল আসে, আলিয়াকে তেমন ভাবে দেখা যায়নি। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন খানিকটা ওজন বেড়েছিল নায়িকার। তবে অবাক হয়ে যাওয়ার মতো কিছু নয়। রাহা হওয়ার পরেও খুব তাড়াতা়ড়ি কাজে ফিরেছিলেন আলিয়া। মা হওয়ার যে ধকল, তার এতটুকু শরীরে ছিল না তার। কী ভাবে এত তা়ড়াতাড়ি ফিট হয়েছিলেন আলিয়া?
নায়িকার ফিটনেস প্রশিক্ষক এর আগে বহু বার তার ‘ছাত্রী’র শরীরচর্চার প্রতি একাগ্রতার প্রশংসা করেছিলেন। মা হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই নাকি আলিয়া শারীরিক ক্লান্তি কাটিয়ে চলে গিয়েছিলেন জিমে। ওয়েট ট্রেনিং, যোগাসন, পিলাটেস বাদ যেত না কিছুই। তবে আলিয়া সবচেয়ে বেশি সময় দিতেন কার্ডিয়ো করার ক্ষেত্রে। কার্ডিয়ো আলিয়ার অন্যতম প্রিয় শরীরচর্চা। নিয়ম করে দৌড়নো, সাইকেল চালানো, এইচআইটি করতেন তিনি। এতে শরীরের বাড়তি মেদ তো ঝরেই, চাঙ্গা থাকতেও রোজ ৩০ মিনিট কার্ডিয়ো করার কোনও বিকল্প নেই। স্ট্রেংথ ট্রেনিং করতেন আলিয়া। সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে সূর্য প্রণাম সেরে তার পর জিমে যেতেন। তার পর ৩-৪ ঘণ্টা সেখানেই থাকতেন তিনি। ঘামে ভিজে চুপচুপে হয়ে ফিরতেন। রোজ একই রুটিন মেনে চলতেন। ধারাবাহিকতা ছিল বলেই দ্রুত পুরনো চেহারায় ফিরতে পেরেছিলেন।
ঘাম ঝরিয়ে শরীরচর্চা তো আছেই, পাশাপাশি যোগাসনও করতেন আলিয়া। যোগাসন শরীরের রক্ত চলাচল সচল রাখে, মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে, পেশি সচল হয়। বৃক্ষাসন, বালাসনে মতো কিছু ব্যায়াম আলিয়া মা হওয়ার পর আলিয়া রোজ করতেন।
কেএস/