ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে বোন রেহানাকে নিয়ে তিনি ঢাকার বাসভবন তথা ‘গণভবন’ ছেড়েছেন। তাঁরা হেলিকপ্টারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেন। এরপরেই গণভবনে সাধারণ মানুষ ঢুকে পড়ে। এ সময় অনেকের হাতে গণভবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস দেখা যায়।
পদত্যাগে ৪৫ মিনিট সময় বেধে দেয় সেনাবহিনী
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তার পরেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। ঢাকার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন। তবে সুযোগ হয়নি।
দেশ ছেড়ে যেতে বিমান চেয়েছিলেন, দিল্লি শোনেনি
একটি সূত্রের দাবি করে
আনন্দবাজারের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে উদ্ধারের জন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে বিমান পাঠানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারত কোনও বিমান পাঠাবে না। কারণ তাতে আইন লঙ্ঘিত হতে পারে।
নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, হাসিনাকে ভারতে পৌঁছতে হবে। তার পর সেখান থেকে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে তাঁর নিকটবর্তী অবতরণ স্থান হতে পারে কলকাতা বিমানবন্দর। সেখান থেকে তাঁকে বিশেষ বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। অন্যান্য সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ত্রিপুরার আগরতলা বিমানবন্দরে এবং শিলিগুড়ির কাছে বাগডোগরা বিমানবন্দরেও নামতে পারেন হাসিনা।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলছে। কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল রোববার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেন।
এমআর//