ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘সম্পূর্ণ ক্ষমতাহীন’ এবং দেশে ‘ বিশৃঙ্খল জনতার শাসন’ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়। বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন না দিলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কাও করছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা বলেন। রোববার(১১ আগস্ট) ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে প্রধান বিচারপতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, পুলিশ প্রধানসহ সরকার ও রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এগুলোর ইঙ্গিত দিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘সম্পূর্ণ ক্ষমতাহীন এবং বর্তমানে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল জনতার শাসন (মব রুল) চলছে। বিশৃঙ্খল জনতা যদি কাল বলে, না, আমরা অমুক ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে চাই না, তাহলে তাঁদের পরিবর্তন করতেই হবে।’
দ্রুত নির্বাচন না হলে ঝুঁকি তৈরি হবে বলে সতর্ক করে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘নির্বাচন দেওয়াটা তাঁদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের) জন্য সবচেয়ে বেশি মঙ্গলজনক...জনগণের কাছে বৈধতা আছে, এমন একটি বৈধ সরকার ও সত্যিকারের কর্তৃপক্ষের হাতে (ক্ষমতা) ফেরাটা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য মঙ্গলজনক)।’ তিনি বলেন, এটা (দ্রুত নির্বাচন) না হলে সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের লাখো সমর্থক রয়েছেন। তারা (দেশ ছেড়ে) কোথাও যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না। এটা কখনোই দেশের অন্তত অর্ধেক মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।’
সজিব ওয়াজেদ জয় এসময় বলেন, এটা (নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা) হবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করা দরকার।’
সজীব ওয়াজেদ জয় মনে করেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংঘাত-সংঘর্ষ উসকে দেওয়ার পেছনে বিদেশি শক্তি কাজ করেছে। তবে তার দাবির সপক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। বিদেশি শক্তির হাত প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘কেবল কোনো গোয়েন্দা সংস্থাই অস্ত্র চোরাচালান করে এনে তা বিক্ষোভকারীদের সরবরাহ করতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘তাঁর (শেখ হাসিনার) জীবন রক্ষা করায় ও তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ায় আমি নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
এমআর//
