ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচারের অভিযোগের তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুদকের উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন আসাদুজ্জামান খান। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য ছিলেন যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন।
জানা গেছে, জেলায় পুলিশ সুপার নিয়োগে এক থেকে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিতো এই চক্র। এই সিন্ডিকেটের আশীর্বাদ ছাড়া পুলিশের কেউ কোনো জেলায় বা গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন পেতেন না। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগের জন্য জনপ্রতি ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা ঘুষ নিতো কামাল-হারুন সিন্ডিকেট।
এরআগে, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার স্ত্রী, পরিবার ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ। মঙ্গলবার সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ নির্দেশনা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান খান, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান ও মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খানের নামে থাকা সব ধরনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক হিসাব স্থগিত থাকবে। চিঠিতে আসাদুজ্জামান খান ও তার পরিবারের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেয়া হয়েছে।