তিনটি শূন্যের একটি বিশ্ব গঠনে গ্লোবাল সাউথের নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (১৭ আগস্ট) ভারতের নয়াদিল্লীতে ‘ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের তৃতীয় সংস্করণে’ যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিধর ‘গ্লোবাল সাউথ’ খুবই সময়োপযোগী ও উপযুক্ত। এ অঞ্চলের টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাপী দক্ষিণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘তিনটি শূন্য—শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ ঘনত্ব এবং শূন্য বেকারত্বের বিশ্ব গড়ার একটি দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আমরা শুরু করতে পারি। সামাজিক ব্যবসার মধ্য দিয়ে আমরা সামাজিক এবং পরিবেশগত সমস্যা সমাধান করতে পারি। তিনটি শূন্যের একটি বিশ্ব গড়তে আমাদের পথ নির্ধারণ করতে পারি। সামাজিক ব্যবসার মধ্য দিয়ে পরিবেশগত এবং সামাজিক সমস্যা মোকাবেলায় গ্লোবাল সাউথের নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আমন্ত্রণ জানাই। আমরা একসঙ্গে কাজ করলে এটি একটি বিশাল শক্তিতে পরিণত হতে পারে। ’
ওয়েবিনারে যুক্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি এই ‘ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের তৃতীয় সংস্করণে’ যোগ দিতে পেরে আনন্দিত। আমি ১৫ আগস্ট পালিত হওয়া ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের জন্য ভারতের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ভূ-রাজনৈতিক সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯-এর প্রভাবের কারণে বিশ্বের বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের ভবিষ্যৎ একটি জটিল জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। ’
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, বাংলাদেশ গেলো ৫ আগস্ট একটি ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ প্রত্যক্ষ করেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বীর ছাত্ররা একটি গণঅভ্যুত্থান করেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গেলো ৮ আগস্ট শপথ গ্রহণ করেছে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের চায়। তাদের আকাঙ্ক্ষা জনগণকে প্রভাবিত করেছে। তারা একটি অর্থবহ সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান পুনরুদ্ধার করেছে। আমাদের সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বহুত্ববাদী গণতন্ত্রে উত্তরণ নিশ্চিত করতে এবং একটি পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। ’
এসি//