কলকাতার নিউটাউনে রহস্যজনকভাবে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলার চার্জশিট দিয়েছে ভারতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় প্রথম গ্রেপ্তারের ৮৭ দিনের মাথায় শনিবার (১৭ আগস্ট) বারাসাত আদালতে প্রায় ১২০০ পাতার চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যটির উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে হত্যার কারণ সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থাটি। ১ হাজার ২শ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি সাবেক এমপি আনার হত্যার ঘটনায় অন্যতম দুই আসামি কসাই জিহাদ হাওলাদার ও মোহাম্মদ সিয়ামকে অভিযুক্ত করেছে। একই সঙ্গে হত্যা করার আগে এবং পরে কীভাবে আনারের মরদেহ লোপট করা হয় এরও বিবরণ তুলে ধরেছেন সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ভারতের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ঘটনার ৯০ দিনের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থাকে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়। আনার হত্যা মামলার অভিযোগপত্র ৮৭ দিনের মাথায় পেশ করা হলো।
সিআইডি সূত্রের খবর, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে তদন্তকারী সংস্থা হত্যার কারণ নিয়ে কোনো ধরনের তথ্য দিতে পারেনি।
চলতি বছরের ১২ মে গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতের প্রবেশ করেছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনার। ১৩ তারিখ নিখোঁজ হন তিনি। ১৮ তারিখ কলকাতার অদূরে বরাহনগর থানায় তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস নিখোঁজ ডায়েরি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
এরপরই নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্স নামের একটি আবাসনে আনারের খুন হওয়ার কথা জানায় সিআইডি। খুন হওয়ার দাবি করা হলেও আনারের দেহ পায়নি তদন্তকারীরা। যদিও ওই আবাসনের সেপ্টিকট্যাংক থেকে সন্দেহজনক মাংসখণ্ড উদ্ধার করে ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়।
ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আনারের পরিবারের সদস্যদের কলকাতায় ডাকা হলেও বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির জন্য পরিবারের কেউ এখনো কলকাতায় আসতে পারেননি।
এসি//