বাংলাদেশ

মোদির সফর ঘিরে পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা

বায়ান্ন প্রতিবেদন

তিন বছর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলাম ও পুলিশের সংঘর্ষে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহত হয়।   

আর সেই ঘটনায় চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এবং ফটিকছড়ির সাবেক এমপি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। 

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) নিহত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামের বাবা আবদুল জব্বার হাটহাজারী থানায় এই মামলা করেন। মামলাটি রেজিস্টার করেছেন হাটহাজারী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান।

মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে চট্টগ্রামের সাবেক এসপি এমএস রশিদুল হক, হাটহাজারী থানার সাবেক ওসি রফিকুল ইসলাম, হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত এসপি আবদুল্লাহ আল মাসুম, ওসি ডিবি কেশব চক্রবর্তীসহ ১৫ থেকে ২০ জন পুলিশ সদস্য এবং ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে। 

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, তার ছেলে ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ২০২১ সালের ২৬ মার্চ জুমার নামাজের পর হাটহাজারীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেয়। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা মিছিলে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে দৌড়াদৌড়ি করার সময় আসামি ও তাদের সহযোগীরা বাদীর ছেলেসহ আরও কয়েকজনকে ধরে প্রচন্ড মারধর করে এবং অজ্ঞাতনামা পুলিশ কনস্টেবল থেকে অস্ত্র টেনে নিয়ে তার ছেলের বুক ও পেটে পরপর দুটি গুলি করে। বুলেটের আঘাতে ছেলে মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা তাদের হাতে থাকা অগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বুকে পরপর আরও তিনটি গুলি করে ঘটনাস্থলেই ছেলের মৃত্যু নিশ্চিত করে।

পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিএইচ) নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এনএস/ 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মোদি | হেফাজত