ভারত থেকে নেপালে যাওয়া পূণ্যার্থীবাহী একটি বাস নদীতে পড়ে কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৬ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে নেপালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নেপালে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসে ৪৩ জন যাত্রী ছিল। বাসটি নেপালের পোখরা থেকে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে রাজধানী কাঠমাণ্ডু যাচ্ছিল। সেসময় এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি রাস্তা থেকে গড়িয়ে তানাহুন জেলার মারস্যাংদি নদীতে পড়ে যায়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে পূণ্যার্থীদের উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতদের বেশির ভাগই ভারতের মাহারাষ্ট্র রাজ্যের।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বাসটি একটি পাহাড়ি ঢালের নিচে খরস্রোতা নদীর ধারে পড়ে আছে। উদ্ধার কর্মীরা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বেঁচে থাকা যাত্রীদের খুঁজছেন। নেপালের সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও একটি চিকিৎসক দল দুর্ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে।
তানাহুন জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা দীপকুমার রায়ার উদ্ধৃতি দিয়ে এএনআই বার্তা সংস্থা বলেছে, বাসটির নাম্বারপ্লেটে লেখা ছিল ইউপি এফটি ৭৬২৩। গাড়িটি নিবন্ধন করা আছে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশে।
শুক্রবার সকালে বাসটি ভারত থেকে নেপালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। নিহতদের মধ্যে ৬ বছরের একটি মেয়ে শিশুও ছিল।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেছেন, বাসের দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীদের বেশির ভাগই এই রাজ্যের বাসিন্দা।
নেপালে পোখারা থেকে কাঠমান্ডু যাওয়ার বাস রুট ভারতীয় পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সড়ক ও যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং পার্বত্যাঞ্চলে সরু রাস্তার কারণে নেপালে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
গত জুলাইয়ে ভূমিধসে দুটি যাত্রীবাহী বাস ত্রিশূলী নদীতে পড়ে কয়েক ডজন যাত্রী নিখোঁজ হয়েছিলেন।
কেএস//