দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৪২ টাকা। ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৩৬ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বর্ণের এই দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
রোববার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন দাম সোমবার (২৬ আগস্ট) থেকেই কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৪২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২২ হাজার ১২২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪ হাজার ৬৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৬ হাজার ৫৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২২ আগস্ট দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৫০৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৬ হাজার ৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২০ হাজার ২৭৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩ হাজার ৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৫ হাজার ২৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ২৩ আগস্ট থেকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৩৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২১ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৫ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।