বিগত স্বৈরশাসক সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছি। জামায়াতসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে শেষ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। তারা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল। এ অবস্থায় জনগণ বর্তমান সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছে। তাদের কাজ বিগত সরকারের ধ্বংস করা প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। আমরা তাদের সে সময় দিতে প্রস্তুত। বললেন জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিরে জামায়াত বলেন, পতিত স্বৈরাচারের আমলে সবার আগে আঘাত এসেছিল বিডিআরের ওপর। সেই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারা এখনও শনাক্ত ও বিচারের আওতায় আসেনি। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনী ও বিডিআর দুইটা বাহিনীকে ধ্বংস করা হয়েছিল। এরপর হামলা এসেছে জামায়াতে ইসলামীর ওপর। ইসলাম ধর্মের জন্য যারা নির্যাতন সহ্য করে কাজ করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ আনা হলো। তাদের আটকের পর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে বিচারবিভাগীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হলো। এরপর সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন ও হত্যা করা হলো।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সরকার জামায়াত নিষিদ্ধের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের পাতা ফাঁদে পা দেইনি। আমরা ধৈর্য ধারণ করেছি ও আল্লাহর সহায়তা চেয়েছি। আল্লাহ আমাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। এক মাস আগে যা কল্পনা করিনি, আল্লাহ সেই উপহার আমাদের দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। তারা এ জাতিকে উদ্ধার করেছেন। এবার নিজেদের গড়তে হবে। তোমাদের প্রতি অনুরোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে হবে। এটা তোমাদের শেষ আত্মত্যাগ নয়, এটা সবে শুরু। জ্ঞান, দক্ষতা অর্জন ও নিজেরা সৎ হতে হবে। একইসঙ্গে অন্যদের সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা ওয়াচ টাওয়ারের মতো। তারা উপর থেকে সব দেখেন ও জনগণের ভাষা বুঝেন। এজন্য তাদের জাতির বিবেক বলা হয়। কিন্তু তারা এতদিন মুক্তভাবে কাজ করতে পারেননি। অদৃশ্য উপরের নির্দেশে তাদের কলম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এমনটা যেন আর না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকবে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মো. সেলিম উদ্দিন।
জেএইচ